দশ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন সাকিব আল হাসান। অভিষেক ২০০৭ সালে, ভারতের বিপক্ষে। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম বছরে এসে পূর্ণ করতে যাচ্ছেন ৫০তম ম্যাচ। ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের হয়ে টানা খেললে হয়ত এতদিনে টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি পেরিয়ে যেত। এতটা লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ফিফটির জন্য অপেক্ষা হতাশারই হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি নিয়ে মোটেও আফসোস নেই সাকিবের।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বললেন, ‘লাইফে খুব বেশি আফসোস নাই। ওদিক চিন্তা করলে— যা হয়েছে, তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগত। বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি বলে আফসোস নেই। যতগুলো খেলেছি, তাতে কতটা পারফর্ম করেছি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দুটি ম্যাচ, চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে। এবছর আমাদের দলের অনেকেই খুব ভালো করেছে। আশা করি এই সিরিজেও ভালো কিছু হবে।’
৪৯ টেস্ট খেলা সাকিব বল হাতে নিয়েছেন ১৭৬ উইকেট। ব্যাট হাতে ৪০.৯২ গড়ে ৩৪৭৯ রান। ব্যাট-বলে বহুবার জ্বলে উঠে জয়ের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন দলকে। বল হাতে ম্যাচ উইনিং স্পেল কিংবা ব্যাট হাতে লড়াকু ইনিংস, টাইগারপ্রেমীদের চোখে ভাসার মত পারফরম্যান্স অনেক।
মাইলফলকের সামনে এসে সাকিব জানালেন তার স্মরণীয় জয়, ইনিংস ও বোলিং স্পেল নিয়ে, ‘স্মরণীয় টেস্ট ইংল্যান্ডেরটা (২০১৬ সালে)। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৯২ (আসলে ৯৬*) করেছিলাম, সেটা মনে পড়ছে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭, বড় অর্জন ছিল। বোলিংয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।’
২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টেস্টে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ক্যারিয়ারে সেটাই ছিল তার প্রথম পাঁচ উইকেট।