ক্যালিফোর্নিয়ায় ধীরে ধীরে সব খুলছে। তবে হলিউড এখনও বন্ধ। ৯ লক্ষ ২৭ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থান যেখানে, সেই ইন্ডাস্ট্রি নিস্তব্ধ হয়ে আছে বহুদিন ধরে।
করোনা পরিস্থিতি আরও একটু ভালো হলে লস অ্যাঞ্জেলসের টেলিভিশন, সিনেমা এবং সাউন্ড প্রোডাকশনের কাজ আবার শুরু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে নতুন নিয়মকানুন মানতে হবে।
লস অ্যাঞ্জেলসের সিটি কাউন্সিল মেম্বার মিচ ও ফ্যারেল জানিয়েছেন, হলিউডের কার্যক্রম শুরু করতে বেশ কিছু সপ্তাহ লাগতে পারে। নিউ ইয়র্কের ক্ষেত্রে সময়টা আরও বেশি লাগবে।
তিনি বলেন, ‘শুটিয়ের সময় নিরাপত্তার সব ব্যবস্থা থাকতে হবে। মানুষ কাজে ফিরুক সেটা চাই, তবে পরিবেশ নিরাপদ থাকাও জরুরি।’
দুই মাস ধরে থেমে আছে হলিউড। সিনেমা হলগুলো বন্ধ। সেজন্য আর্থিক সংকটে আছেন এসব কাজে সংশ্লিষ্ট অনেকেই। কিন্তু কাজ যখন আবার শুরু করা হবে, তখন অ্যাসিস্ট্যান্ট, ক্যাটারার, পোশাক ডিজাইনার, মেকআপ আর্টিস্ট, হেয়ার স্টাইলিস্ট সহ এসব পেশায় নিয়োজিত অনেকেরই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
অভিনয়শিল্পীদেরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে শুটিং শুরু হলে। সিনেমার দৃশ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সবসময় সম্ভব হবে না। সিনেমার তারকাদের যেহেতু পিপিই পরে অভিনয় করা সম্ভব নয়, তাই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ধারণ করতে গেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে! এ বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
অ্যাকটরস’ ইকুইটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেট শিনডল বলেন, ‘আমাদের নতুন স্ট্যান্ডার্ডের প্রয়োজন হবে। কারণ এটা এমন এক জায়গা যেখানে কাজের খাতিরে সহকর্মীকে চুমু দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।’
পুরো বিশ্বের মতো হলিউডও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু, সেটা এতটা সহজ না। কারণ, ইন্ডাস্ট্রির কাজ শুরু করতে চাইলে স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে আগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে খুলতে হবে স্টুডিওগুলো। শুটিং সেটে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে, কর্মীদেরকে ঘন ঘন হাত ধোয়ার অবসর দিতে হবে, নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে এবং শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে নিয়মিত।
সিনেমা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সব কার্যক্রম শুরু করার পর যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যায় এবং আবার সব বন্ধ করে দিতে হয়, তাহলে সেটাই সবচাইতে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হবে।
তাই নতুন করে শুটিং শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট সকলের সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে শুটিং সময়ের প্রচলিত ডিরেক্টর কল কিছুটা পরিবর্তন করে কেউ কেউ বলছেন, ‘লাইট, ক্যামেরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার!’
-এনবিসি নিউজ