পশ্চিম লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং কিভাবে অতিদ্রুত সেই আগুন ছড়ালো তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
আগুন লাগার আগে নর্থ কেনসিংটনের ওই ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলছিলো। ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের আগে থেকেই ভবনের বাসিন্দারা আগুন লাগার ঝুঁকির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেছিলো বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন ‘কিভাবে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তার পূর্ণ তদন্ত করা হবে।’
ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় জীবিত কাউকে খুঁজে পাবার আর কোনো আশা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
লন্ডন ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্যমতে, নর্থ কেনসিংটনে অবস্থিত আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রেনফেল টাওয়ারের ভেতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয়তো ‘নিখোঁজ অনেকে রয়ে গেছেন’। এই সংখ্যাটা এখনো অজানা। তবে আর কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছে উদ্ধারকর্মীরা। ভস্মীভূত সব দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া সম্ভাব না বলেও জানিয়েছে তারা।
ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। তবে কী কারণে ও কিভাবে আগুন লাগলো কর্তৃপক্ষ এখনো তা জানাতে পারেনি।
নিখোঁজ বাসিন্দাদের বিষয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ চালাচ্ছে তাদের পরিবার-স্বজনেরা।
৭০ জনেরও বেশি মানুষকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
গ্র্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দারা যখন ঘুমে তখনই লাগে ভয়াবহ আগুন। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানালা দিয়ে নীচে লাফিয়ে পড়েছেন।এমনকি শিশু সন্তানকেও নিরাপদে রাখার জন্য জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
তারপরও ধোঁয়ার কারণে বহু মানুষ আটকা পড়েছিলেন ভবনটিতে, অনেকে বের হতে চাইলেও বের হতে পারেননি।