অবশেষে টটেনহ্যামে ফিরে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও তার খেলোয়াড়দের স্বস্তি দিয়ে গেছেন গ্যারেথ বেল। যতদিন মাদ্রিদে ছিলেন কী গণমাধ্যম বা দর্শক, কারও কাছেই ভালোবাসার পাত্র ছিলেন না। রিয়ালের সতীর্থদের সঙ্গেও তার উঠা-বসা খুব একটা মসৃন ছিলো এমনটাও বলা যাবে না। কারণ ওয়েলস তারকা নাকি স্প্যানিশ জানতেন না এবং কখনো শিখতেও চাননি। তবে সবকিছুকে গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন বেলের রিয়াল সতীর্থ লুকা মদ্রিচ।
পুরোপুরিভাবে কিন্তু বেল এখনো রিয়াল ছাড়েননি। এক মৌসুমের জন্য ধারে টটেনহ্যামে গেছেন কেবল। তবে সেই এক মৌসুমে খেলা পছন্দ হলে বেলকে পুরোপুরি নিজেদের করে নেবে তারই সাবেক ক্লাব। এর আগ পর্যন্ত বেলকে মদ্রিচের সতীর্থ বলাই চলে। অবশ্য টটেনহ্যামেও কিন্তু দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন।
আর সতীর্থ হিসেবে সবরকম সমালোচনা থেকে বেলকে দূরে রাখতে চান মদ্রিচ। রিয়াল সমর্থকদেরও অনুরোধ করেছেন, ক্লাবটির হয়ে যে চার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুই লা লিগা ও একটি কোপা ডেল রে জিতেছেন বেল সেজন্যও যেন তাকে মনে রাখা হয়। ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলতেন না, অবসরে একা একা গলফ কোর্টে পড়ে থাকতেন-এমন গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ ব্যালন ডি’অরজয়ী মিডফিল্ডারের।
‘ আমি আমার পেশাদার জীবনের বেশিরভাগটা সময় গ্যারেথের সঙ্গে কাটিয়েছি। ও অসাধারণ একটা মানুষ। তবে কিছুটা লাজুক, অনেকটা আমার মত।’
‘তাকে ঘিরে যেসব কথা বলা হয় সেসব ঠিক না। শেষ কয়েক বছরের পারফরম্যান্স দিয়ে তাকে বিচার করা হচ্ছে অথচ রিয়ালের হয়ে যা দিয়েছে তা অসাধারণ এবং এজন্যই তাকে মনে রাখতে হবে যে ক্লাবের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছে।’
বেলের ভাষাগত ব্যাপার নিয়ে যেসব সমস্যা আছে সেগুলোও উড়িয়ে দিয়েছেন মদ্রিচ,’ বেল কখনোই ড্রেসিং রুমে সমস্যা তৈরি করেনি। সে দারুণ মানুষ। সে স্প্যানিশ জানে, আমাদের সঙ্গে মজা করেছে।’
‘গত কয়েক বছর ধরে অনেক কিছু বলা হচ্ছে, সবাই ভুলে যাচ্ছে বেল কী ছিলো। আরও কয়েক বছর যাওয়ার পর সবাই বুঝতে আসলে দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলো।’