ঘরের মাঠে টেস্টের পারফরম্যান্স আলো ঝলমলে। কিন্তু সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছেড়ে ওয়ানডের রঙিন পোশাক পরতেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরে সাউথ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারের শঙ্কায় লঙ্কানরা।
বুধবার ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। সিরিজ বাঁচাতে ৫ আগস্ট ক্যান্ডিতে তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই স্বাগতিকদের সামনে।
বাঁহাতি স্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া ও পেসার কাসুন রাজিথাকে অভিষেক করিয়ে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। অধিনায়ককে ভুল প্রমাণ করতে যেন ৫৬ রানেই নেই স্বাগতিকদের টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। উপুল থারাঙ্গা ৯, কুশল পেরেরা ১২ ও কুশল মেন্ডিস রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাজঘরে।
বিপর্যয়ে হাল ধরতে হয়েছে ম্যাথুজকেই। ওপেনার নিরোশান ডিকেভেল্লাকে নিয়ে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ৬৯ রানে ডিকেভেল্লা ফেরার পর লঙ্কান অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যানই।
অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখতে দেখতে একপ্রান্ত আগলে ১১১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৭৯ রান এসেছে লঙ্কান দলপতির ব্যাট থেকে। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানের মাঝারি স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের ছয় উইকেট সমানভাবে ভাগ করেছেন দুই প্রোটিয়া পেসার লুনগি এনগিদি ও আন্দিলে ফেলুকোয়ও। বাকি দুই উইকেট কাগিসো রাবাদা ও উইলিয়াম মুলডারের ঝুলিতে।
ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কান বোলারদের ম্যাচে ফেরার তেমন সুযোগই দেননি দুই প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টিন ডি কক ও হাশিম আমলা। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনের ব্যাটে এসেছে ৯১ রান।
আমলা ৪৩ রানে থামলেও ডি কক ঝড় চালিয়ে গেছেন। বাঁহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ৭৮ বলে ১৩ চার ও এক ছয়ে ৮৭ রানের মারাকাটারি ব্যাটিংয়ে জয় অনেকখানি নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারীদের।
মাঝখানে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসের ৪৯ ও জেপি ডুমিনির ৩২ রানে ভর করে ৪৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে সাউথ আফ্রিকা।
লঙ্কান বোলিংয়ে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছেন আকিলা ধনঞ্জয়া। চায়নাম্যান এ বোলারের শিকার প্রতিপক্ষের ৩ উইকেট।