ক্রিকেটীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায় এ পর্যন্ত ৩৮টি ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের জয় চারটি ম্যাচে। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টি এসেছিল ঘরের মাটিতে ২০০৬ সালের ২ মার্চ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ২১২ রানে লঙ্কানদের অলআউট করে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের পক্ষে সনাথ জয়সুরিয়া সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন।
টাইগারদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সৈয়দ রাসেল, মোহাম্মদ রফিক ও অলক কাপালি। জবাবে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৫১ রানে বাংলাদেশ চার উইকেটে হারিয়েছিল জয়সুরিয়া, জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারাদের।
দ্বিতীয় জয়টিও ঘরের মাটিতে, মিরপুরে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি। ত্রিদেশীয় সিরিজে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ৩১ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। ওই ম্যাচে মাশরাফি ও রুবেল হোসেনের পেস তোপে মাত্র ১৪৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মাশরাফি নেন তিন উইকেট আর রুবেল চার উইকেট। জবাবে সাকিবের অনবদ্য ৯২ রানে পাঁচ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অন্য দলটি ছিল জিম্বাবুয়ে।
তৃতীয় জয়টি আসে ঢাকায়, ২০১২ সালের ২০ মার্চ এশিয়া কাপে। বৃষ্টি আইনে টাইগাররা জয় পায় পাঁচ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৩২ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এরপর ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয়। পরে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২১২ রান। তামিমের ৫৯, সাকিবের ৫৬ ছাড়াও শেষদিকে নাসিরের ৩৬ ও মাহমুদউল্লাহর ৩২ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
২০১৩ সালের ২৮ মার্চ লঙ্কানদের মাটিতে চতুর্থ জয়টি পায় টাইগাররা।
পাল্লেকেল্লেতে এ ম্যাচেও বৃষ্টি আইনে জয় আসে। তিন উইকেটের জয় পায় সাকিব-তামিমরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তিলকারত্নে দিলশানের ১২৫ রানে ৯ উইকেটে ৩০২ রান করে লঙ্কানরা। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের ১৩ দশমিক চার ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭ ওভারে ১৮৩ রান। এনামুল হক বিজয়ের ৪০ ও মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ৩৩ রানে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
২০১৩ সালের ২৫ মার্চ হাম্বানটোটায় বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার একটি ম্যাচ। টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। মাত্র পাঁচ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল তারা। এরপরই বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে।
এর বাইরে ৩৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে এখন ভিন্ন বাংলাদেশ।
বদলে যাওয়া বাংলাদেশ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডাম্বুলাতে ২৫ মার্চ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৮ মার্চ এবং কলম্বোতে ১ এপ্রিল সিরিজের শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।