লক্ষ্মীপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে ঐশী আক্তার নামের ১৯ বছরের এক নববধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার রাতে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন শেরপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ভোর সাড়ে তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের মা সুফিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে ঐশীকে করে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদসহ শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তিনি তার মেয়ে হত্যার জন্য দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহতের মামা মো. মাসুদও এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন দোষীদের বিরুদ্ধে। নিহতের মামা মো. মাসুদ বলেন, আমার ভাগ্নীকে নির্যাতন করে হত্যার জন্য দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রায় সাত মাস পূর্বে সদর উপজেলার বসিকপুরের শেরগ্রামের নিবাসী আমির হোসেনের পুত্র আরিফ হোসের সাথে একই জেলার রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের হাসান আহম্মদের মেয়ে ঐশী আক্তারের বিয়ে হয়। ওই সময় আরিফ হোসেনের পরিবারের পাঁচ লাখ টাকার যৌতুকের মুখে আসবাবপত্র ও নগদসহ প্রায় চার লাখ টাকা পরিশোধ করে ঐশীর পরিবার।
এদিন রাতে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্যদের সাথে ঐশীর কথা কাটাকাটি হয়। এতে এক পর্যায়ে তাকে কিল, ঘুষি, শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
দত্তপাড়া ফাঁড়ি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের মুখের দু’পাশে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শারীরিক নির্যাতনের তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতের স্বামী পক্ষের লোকেরা এটিকে বিষপানে আত্মহত্যার কথা তুললেও বিষের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ময়না তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।