ফিফার বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে কাতারের অবস্থান ৬২ আর বাংলাদেশের ১৮৭। দুই দলের মাঝে ১২৫ ধাপের বিশাল ব্যবধান। এত বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা এক দলের বিপক্ষে তো ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু কাতারের স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজের কাছে র্যাঙ্কিং বিষয়টি যেন একদমই নিরামিষ!
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘ই’তে র্যাঙ্কিংয়ে ৬২ নম্বর স্থানে থাকা কাতারকে বৃহস্পতিবার আতিথ্য দিচ্ছে ১২৫ ধাপ পেছানো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
ভাঙা ভাঙা ইংরেজি বলেন। তবে বোঝানোর জন্য সেটাই অবশ্য যথেষ্ট। তবে বাফুফে ভবনের তিনতলায় বুধবারের সংবাদ সম্মেলন যা বললেন ফেলিক্স সানচেজ তা বুঝতে গলদঘর্ম হতে হলো সংবাদকর্মীদের। সেটা কী তার কণ্ঠের কারণে নাকি অন্য কোনো সমস্যা সেটা বোঝা গেল না। যতটুকু বুঝাতে পারলেন তার সারমর্ম হলো বাংলাদেশেকে মোটেও হাল্কাভাবে নিচ্ছে না তার শিষ্যরা। আর র্যাঙ্কিংয়ে তার দলের অবস্থান কোথায় আর বাংলাদেশই বা কি অবস্থায় সেটা নিয়েও মোটে মাথাব্যথা নেই তার। সোজা-সাপ্টা বলে দিলেন পরিসংখ্যান, র্যাঙ্কিং এসব শব্দের মানে তার কাছে শুধুই সংখ্যা!
‘ফিফা র্যাঙ্কিং কেবল একটা শব্দ, সংখ্যা, নাম। এ দিয়ে একটা দলের শক্তি টের পাওয়া যায় না। ফিফা র্যাঙ্কিং যদি সত্যি হতো তাহলে এক বা দুইয়ে থাকা দল কিছুতেই পরিবর্তন হতো না।’
র্যাঙ্কিংকে আমলে না নিয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বের কারণও অবশ্য আছে। চাইলেও স্বস্তিভাবটা সঙ্গে করে ঢাকায় আনতে পারেনি ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। সবশেষ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভারতের কাছে গোলশূন্য ড্র ছিল তাদের জন্য হারের সমান। সেই ম্যাচের পর বাংলাদেশকে আর মোটেও খাটো করে দেখতে চান না বার্সেলোনার যুব দলের সাবেক এই কোচ।
‘আমি আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচের দিকেই চোখ রাখছি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে করেই হোক ভালো ফল আদায় করা।’
‘কালকের ম্যাচে কেউ ফেভারিট নয়। আপনাকে সেরা হতে হলে তাহলে আপনাকে মাঠেও সেরা হতে হবে। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী নিজেদের সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করবো এবং একটা ভালো ফল পাওয়ার চেষ্টা করব।’
বৃহস্পতিবার সম্ভাবনা আছে বৃষ্টি হওয়ার। সেক্ষেত্রে মাঠ হয়ে উঠতে পারে ভারী, কর্দমাক্ত। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কাতারের মতো টার্ফে খেলা দলগুলোর পক্ষে খেলাটা বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে বলা চলে।
প্রতিপক্ষের জন্য যা অসুবিধার বাংলাদেশের জন্য তা আশীর্বাদের। স্বাগতিক কোচ জেমি ডে যেমন বলেই দিয়েছেন, বৃষ্টি হলে মন্দ হয় না! তো কী ভাবছেন কাতার কোচ? মাঠ ভারী হলে সমস্যা হবে কি তার দলের?
‘আমার খেলোয়াড়রা পেশাদার। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে তারা যেকোনো মাঠেই খেলার যোগ্যতা রাখে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা একটা ফলের দিকেই চোখ রাখছি।’