আটক হওয়ার পরপরই এবিটি নেতা তৌহিদ ও বাশারসহ ৬ জঙ্গি ডক্টর অভিজিৎ হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাব দাবি করলেও ডিবির রিমান্ডে তারা বলেছে, তারা অভিজিৎ হত্যায় জড়িত নয়। তবে তাদের কাছে অন্য গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ডিবি।
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও প্রবাসী প্রকৌশলী ব্লগার ডক্টর অভিজিৎ হত্যা মামলার এখনও কোন কুল কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারী ডিবি কর্মকর্তারা। অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে ফারাবী নামে এক উগ্রবাদী ব্লগারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে কয়েক দফা জিজ্ঞাসায় তার জড়িত থাকার কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এরইমধ্যে আনসার উল্লাহ বাংলা টিম, এবিটির এক নেতা তৌহিদসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব। পরে আটক করে এবিটি প্রধান মুফতি রাহমানীর ছোট ভাই আবুল বাশারসহ আরও তিনজনকে। সে সময় র্যাব দাবি করেছিলো তারা সবাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
কিন্ত রিমান্ডে জিজ্ঞাসায় তারা বলছে, র্যাবের কাছে এ ব্যপারে কিছইু স্বীকার করেনি তারা । তবে হাল ছাড়েননি তদন্তকারী ডিবি কর্মকর্তারা।
অভিজিৎ হত্যা মামলায় তদন্তে সহায়তা দিতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই। তাদের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কিছু গুরুত্বপ্রর্ণ আলামত। তার রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি ডিবি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী স্ত্রী বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বই মেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রবাসী প্রকৌশলী ব্লগার অভিজিৎ রায়কে।