আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ হলেও নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখার সুযোগ নেই। কারণ র্যাঙ্কিং। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে টাইগারদের অবস্থান দশে আর আফগানরা আটে। নির্দিষ্ট ফরম্যাটে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তো আনকোরা কাউকে খেলানোর ঝুঁকি নেয়া যায় না। সেটি নিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্টও। সেরা দল নিয়েই তাই আফগান-বধে ভারতের দেরাদুন যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের বিষয়টি আফগান সিরিজ চূড়ান্ত হওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার আগে আফগান সিরিজে বিশ্রামে যেতে পারেন তামিম-মুশফিকদের মতো ক্রিকেটাররা, এমন কথা শোনা যাচ্ছিল।
টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যেও ছিল নানা মত। সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হতেই উবে গেছে সেসব প্রসঙ্গ। প্রাথমিক দলে নাজমুল হোসেন শান্তর মতো তরুণ, ইয়াসিন আরাফাত মিশুর মতো নবীনরা থাকলেও নিধাস ট্রফির দলে থাকা ক্রিকেটারদের উপরই ভরসা রেখে আরেকটি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন ইমরুল, সোহান, তাসকিন। ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। বদল এটুকুই।
দলে খুব বেশি পরিবর্তন না আনা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন যে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে থাকল র্যাঙ্কিং-ভাবনা, ‘এই জায়গাতে আমরা ওই (নতুন খেলোয়াড়) চিন্তা-ভাবনায় যাইনি। কারণ প্রতিটি সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টি-টুয়েন্টিতে আমরা র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছি। এ কারণেই আমাদের সেরা দলটা পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করেছি। সামানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও আছে। ওখানেও টি-টুয়েন্টি আছে। চেষ্টা করেছি আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটা গঠন করতে।’
দীর্ঘদিন ধরেই টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে দল হয়ে উঠতে পারছিল না বাংলাদেশ। নিধাস ট্রফিতে সাফল্যের (রানার্সআপ) পর টি-টুয়েন্টি দলের একটি ছায়া দেখতে পাচ্ছেন মিনহাজুল। ঘুরেফিরে এই দলটাই টি-টুয়েন্টি খেলবে সে ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন প্রধান নির্বাচক।
‘নিধাস ট্রফির পর টি-টুয়েন্টি দলটা আমরা অনেকটাই পেয়ে গেছি। কিছুদিন আগেও এ ব্যাপারে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। এই ফরম্যাটে বুঝতে পেরেছি কোথায় আমাদের শক্তির জায়গাগুলো। আর কোথা দুর্বলতা। যার কারণে খুব বেশি পরিবর্তনে যাইনি।’