দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান র্যাংকওয়েভের বিরুদ্ধে বিপণন ও বিজ্ঞাপনে বেআইনিভাবে তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে ফেসবুক।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের এই সংস্থাটি বিচারকদের আহ্বান জানিয়েছেন যেন র্যাংকওয়েভের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দেওয়া হয় যে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ এবং বিক্রি করে দিয়েছে কিনা জানার জন্য।
ফেসবুকের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা এখনো জানে না কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এতে কত কত গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী ডেভেলপারদের একটি ম্যাসেজ পাঠানো হবে যে ফেসবুক তাদের নীতি প্রয়োগে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম এনফোর্সমেন্টের ডিরেক্টর জেসিকা রোমেরো বলেন, ফেসবুক র্যাংকওয়েভের বিজ্ঞাপণ ও বিপণনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তথ্যসমূহ নিয়ে তদন্ত করছে। কিন্তু র্যাংকওয়েভ আমাদের নীতির সঙ্গে কতটা সম্মতিপূর্ণ সেটা নিশ্চিত হওয়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ।
তবে এই ঘটনায় র্যাংকওয়েভের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ায় জমা দেওয়া তথ্য অনুসারে, ফেসবুক র্যাংকওয়েভের প্রতি অভিযোগ তুলছে ৩০টি ভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের যেগুলো ফেসবুক পেজগুলোর লাইক ও কমেন্ট ট্র্যাক করে এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করে।
র্যাংকওয়েভের একটি ব্যবহারকারী অ্যাপও আছে যেটা ব্যবহারকারীর অনুমতি নেয়ার পরে ব্যবহারকারীর পোস্টের জনপ্রিয়তা অনুসরণ করে। ফেসবুক জানিয়েছে, তারপর সেই অ্যাপটি, ‘সামাজিক প্রভাবের মাত্রা’ গণনা করে।
২০১৪ সাল থেকে এসব তথ্য পেয়েছে ফেসবুক, র্যাংকওয়েভ তাদের অ্যাপ দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তাদের নিজেদের ব্যবসার উদ্দেশ্যে, তার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন ও বিপণন প্রতিষ্ঠাণগুলোকে পরামর্শ সেবা প্রদান করা।
মামলায় ফেসবুক র্যাংকওয়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বারবার তাদের অনুরোধ করা সত্বেও কোনো অডিট করার সুযোগ দিতে এবং তাদের কাছে যেসব তথ্য আছে সেই সম্পর্কিত কোনো প্রমাণ দিতে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফেসবুক চায় বিচারক সেই সব পদক্ষেপ গ্রহণে র্যাংকওয়েভকে চাপ দিক। এবং অনির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিক। কারণ এর ফলে ফেসবুকের খ্যাতি ও জনবিশ্বাস হুমকির মুখে পড়েছে। ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত কার্যকর ছিলো র্যাংকওয়েভ।
কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকা কেলেঙ্কারীর পরে নিজেদের তথ্য বিষয়ে সতর্ক ফেসবুক। সেই সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে সেটা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছিলো। আর সেটা ব্যবহৃত হয়েছিলো মার্কিন নির্বাচনে। তাতে বেশ ঝামেলাতেই পড়েছিলো ফেসবুক।