রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত উত্তাল মিয়ানমার। সেই প্রভাব এসে পড়ছে বাংলাদেশের উপরও। কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টে রেহিঙ্গাদের হামলা আরো বেশি সমস্যা তৈরি করেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। তার আগে ও পরে রোহিঙ্গাদের উপরে চলে প্রবল নির্যাতন। আর তারই জের ধরে তারা চলে আসছে বাংলাদেশে।
এ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম গণহত্যার শিকার বাংলাদেশের বাঙালিরা প্রাণ বাঁচাতে লাখে লাখে গিয়ে ঢুকে পড়ে ভারতে। যদি পূর্বপাকিস্তানকে বাংলাদেশে রূপান্তর করা না যেত, তাহলে এই উদ্বাস্তুদের ভার ভারতকেই বহন করতে হতো বছরের পর বছর। তাই ভারত কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি বাঙালিদেরকে সামরিক সহায়তা দেয়া শুরু করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে ভারত এই বিপুল শরণার্থীর চাপ থেকে নিজের ইকোনমিকে মুক্ত করে।
এরপরে তিনি লিখেছেন, ভারত এই একই কাজ আশির দশকে করেছে শান্তিবাহিনীকে পেট্রোনাইজ করে। দীর্ঘদিন পাহাড়ে সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধাবস্থায় রাখতে রাখতে বিরক্ত বাংলাদেশ সরকার তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় একটা শান্তিচুক্তি করে পাহাড়ের অশান্তি কমিয়ে আনতে সক্ষম হন। শরণার্থী পাহাড়ি জনগোষ্ঠির এক বড় অংশ বাংলাদেশে ফেরত আসে এবং ভারতের উপর চাপ কমে যায়।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, মিয়ানমার চায় রোহিঙ্গাদের পুরো জনগোষ্ঠির দায়ভার বাংলাদেশ সরকার নিক। আবেগকে সরিয়ে রেখে যুক্তির বিচারে বিবেচনা করলে এটি আসলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার জন্য বাস্তবসম্মত নয়। এই রোহিঙ্গাদেরকে এমনিতে ফেরত পাঠানো যাবে না। আরাকানে অশান্তি যদি এমন পর্যায়ে যায় যে মিয়ানমার বাধ্য হয় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একটা মিমাংসায় আসে সেই ব্যবস্থা না হলে রোহিঙ্গাদের স্রোত থেকে আমাদের মুক্তি নেই। আক্কেলমন্দের জন্য এতটুকুই ইশারা।