রোহিঙ্গা শিশু সমিরা বেগম। বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারে অনেক সুখস্মৃতি ফেলে এসেছে। কক্সবাজারের কুতুপালং-এ ব্রাকের একটি শিশু-বান্ধব কেন্দ্রে বসে সে এখন ছবি আঁকতে ব্যস্ত। অবাক হতে হয় যখন জানা যায়, কোন শিক্ষা বা চর্চা ছাড়াই সামিরা এরকম ছবি আঁকে!
জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মিনা আর তার পোষা টিয়ার ছবি দেখে নিজের মতো করে তা আকার চেষ্টা করে সমিরা। সমিরাও হয়তো মিনার মতো স্বপ্ন দেখে তার একটি টিয়া থাকবে, মিনার মতো খেলে বেড়াবে, স্কুলে যাবে। কিন্তু নিজ দেশ, ঘর-বাড়ি ছেড়ে এক অনিশ্চয়তায় কাটছে সামিরাদের জীবন।
এমন ৩টি শিশু-বান্ধব কেন্দ্র আছে যেখানে সমিরার মত আরও অনেক শিশুই আশ্রয় নিয়েছে। এই নিরাপদ শিশুকেন্দ্রগুলোতে তারা খেলে এবং নানা কিছু শিখে সময় কাটায়, যা তাদের দুঃসহ স্মৃতিগুলোকে দূরে রাখতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে।
কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকগণ এই শিশুদের মানসিক অবস্থার প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল থেকে তাদের সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
এছাড়াও ব্রাক উখিয়া এবং টেকনাফে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে খাবার পানি সরবরাহসহ ল্যাট্রিন, টিউবওয়েল ও স্বাস্থ্যসেবা স্থাপন করেছে।
প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু। প্রায় দেড় হাজার শিশু রয়েছে যারা পরিবার বিচ্ছিন্ন।