মিয়ানমার থেকে স্রোতের মতো আগত রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ একটা জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আশ্রয়দান যেকোন দেশের জন্যই কঠিন ব্যাপার।
ওয়াশিংটনে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেন, আমি জানি অন্য যেকোন দেশের মতোই শরণার্থীদের গ্রহণে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।
নোয়ার্টকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, রাখাইনে জনগণের ওপর কী ঘটছে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সচেতন রয়েছে। সেখানে যা ঘটছে তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
মানবাধিকার লংঘনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি এ ব্যাপারে কূটনৈতিক সংলাপ চালিয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা পুনরায় বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মারাত্মক হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ওই বাহিনীর প্রতি আরো সহিংসতা প্রতিরোধের এবং স্থানীয় লোকদের সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানাই।
২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে পালিয়ে আসা হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনের দেয়া তথ্য অনুসারে, আগস্টে সহিংসতা শুরু হওয়ার সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা এর আগে থেকেই বাংলাদেশে বসবাস করছে। ফলে ছোট এই দেশের ওপর অতিরিক্ত এই জনগোষ্ঠীর চাপ খুব বেশি হয়ে পড়েছে।