রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওই পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সংসদীয় প্রতিনিধিদল।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কার্যালয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৫ সদস্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সংসদীয় প্রতিনিধিদল সাক্ষাতকালে এই আশ্বাস দেন।
জেন লিমবার্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসাও করেছেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জেমস নিচলসন এমপি, রিচার্ড কোরবেট এমপি, ওয়াজিদ খান এমপি, সাজ্জাদ করিম এমপি।
সাক্ষাতকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন: রোহিঙ্গা সংকটের সময় সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দুয়ার উন্মোচন করেছেন, স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ৫ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
এ সময় স্পিকার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব জনমত বৃদ্ধিতে ইইউভুক্ত দেশসমূহের জোরালো ভূমিকার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
ওই প্রতিনিধিদলকে স্পিকার জানান: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং ৫০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দশম সংসদে এ পর্যন্ত ১৩০টি আইন পাশ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে বর্তমানে সংসদ বেশ কার্যকর। আর্থ-সামাজিক সকল সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে।
‘বর্তমান সরকার দারিদ্রের হার কমিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারীরা সম্পৃক্ত হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী সকল ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান’, বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সাক্ষাতকালে ইইউ এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষতে আরও সুদৃঢ় হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।