মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। আনুসঙ্গিক যে প্রস্তুতির কাজ চলছে এখন। নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেছিল টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের জরুরী বৈঠক শেষে এ কথা জানান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নেজামী।
তিনি বলেন, ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত আরআরসি শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়াল কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা।
আগামী ২২ আগস্ট মিয়ানমার সরকারের ঘোষণা দেয় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার। যেভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া করা যায় তার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারেনি। সে সময় উখিয়ার ঘুমধুম ও টেকনাফের নাফ নদীর তীরে কেরুণতলী (নয়াপাড়া) প্রত্যাবাসন ঘাট নির্মিত হয়েছিল। এরমধ্যে টেকনাফের প্রত্যাবাসন ঘাটে প্যারাবনের ভেতর দিয়ে লম্বা কাঠের জেটি, ৩৩ টি আধা সেমি-টিনের থাকার ঘর, চারটি শৌচাগার রয়েছে। সেখানে ১৬ আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।