চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ কি মিয়ানমারকে বাধ্য করতে পারবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য নিউইয়র্কের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। এবারের অধিবেশনে তিনটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট, বিশ্ব শান্তি ও শান্তিরক্ষা কর্মসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি), বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়গুলোর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে গুরুত্ব পাবে। মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘নজির স্থাপন করায়’ প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে’ দাতব্য সংগঠন ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’-এর পরিচালনা পর্ষদ শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড দেবে।

গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচার হত্যা, গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া কিংবা নারী-শিশু ধর্ষণের মতো ভয়াবহ সব ঘটনা ঘটে। এই নৃশংস নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তাদেরকে এখনো ফিরিয়ে নেয়ার বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার। গায়ের জোরেই এমন অন্যায়ের পরও মিয়ানমার উঁচু গলায় কথা বলে যাচ্ছে। দোষ দিচ্ছে চরম নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের ওপরই। আর মিয়ানমারের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে চীনসহ আরও কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ।

এক্ষেত্রে জাতিসংঘের মত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিশ্ব মানবতাবাদীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে জাতিসংঘ আর্ন্তজাতিকভাবে চাপ দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিষয়ে যেমন তার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন তেমনি রোহিঙ্গা বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপে রাখার কূটনৈতিক কৌশলেও এবার সক্ষমতার পরিচয় দেবেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ গত বছরেরও বেশি সময় ধরে যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবার সেখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজবে বলে আমরা মনে করি। এটি এখন সকল মানবতাবাদী মানুষের চাওয়া।