চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোহিঙ্গা গণহত্যায় দায়ী হবেন সু চি?

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জাইদ রাদ আল হুসেইন নিশ্চিত করে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যারা সহিংসতা পরিচালনা করেছে তারা নিশ্চয়ই বিচারের আওতায় আসবে।

তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়িংয়ের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় জাইদ রাদ আল হুসেইনের মতামত বেশ গুরুত্ব বহন করে।

এই মাসের শুরুতে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সলকে তিনি বলেন, বিস্তৃত ও ক্রমাগত নির্যাতন চালিয়েছে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের উপরে। আর এটাকে গণহত্যা না বলে কোনো উপায় নেই। মিলিটারি অপারেশনকে স্কেল হিসেবে ধরা হলে, এসব সিদ্ধান্তগুলো সবসময় বড় পর্যায়েই গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান জাইদ।

জাইদ মনে করেন, গণহত্যা সেই সব শব্দগুলোর একটি যেটা নিয়ে ক্রমাগত বিতর্ক চলতেই থাকে। শব্দটি শুনতেই ভয়ঙ্কর এবং এটিকে বলা হয় অপরাধের অপরাধ। খুব কম মানুষই এই দায়ে দায়ী হয়েছেন।

হলোকাস্ট দুর্ঘটনার পরও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিলো। তখন সদ্য প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো মিলে একটি নিয়মপত্র তৈরি করে, সেখানে গণহত্যাকে উল্লেখ করা হয় কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে ধ্বংস করার মনোবৃত্তি নিয়ে পরিচালিত কাজকে।

যদিও গণহত্যার বিষয়টি প্রমাণ করা জেইদের কাজ নয়, আদালতের কাজ। কিন্তু তিনি একটি  আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত আহ্বান করেছেন মুসলিম নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে খুবই ভয়াবহ নির্যাতনের তদন্ত করার জন্য।

তবে এই অপরাধের মামলা প্রমাণ করা খুব কঠিন হবে বলেই মনে করেন তিনি। কারণ স্বভাবতই যারা গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করবে তারা নিশ্চয়ই সেটা পত্রিকায় জানাবে না বা কোনো নির্দেশনা দিবে না।

জাইদ যোগ করে বলেন, প্রমাণের খোঁজ চলছে ব্যাপকভাবে, তবে ভবিষ্যতে এটা দেখলেও আমি খুব অবাক হবো না যে, কোর্ট আমরা যা দেখছি সেটার ভিত্তিতে কোনো ফাইন্ডিং ঠিক করলে।

সেনাবাহিনীর উপর সু চির ক্ষমতা খুবই সীমিত। কিন্তু জেইদ বিশ্বাস করেন, তিনি সেনাবাহিনীর প্রচারণা বন্ধ করতে আরো বেশি চেষ্টা করতে পারতেন।

সহিংসতার পরও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চুপ থাকার কারণে এবং কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরো বেশি সাহসী হয়ে উঠে। এবং কোনো ভয় ছাড়াই বিষয়টির একটি সমাধান টানতে চায়। তবে সব দেখে এই মানবাধিকার কর্মকর্তার মনে হয়েছে, কাজগুলো খুবই ভেবেচিন্তে ও পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।