সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মুন্নীকে হত্যার ৪৪ ঘণ্টা পর হত্যাকারী ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন মা রাহেলা খাতুন। ২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ইয়াহিয়াকে। ২ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এলাকার আরেক বখাটে তানভীরের নাম। মামলার পরপরই তানভীরকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের দিরাই থানার সহকারি পরিদর্শক সিকান্দার আলী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১০। সোমবার বিকেল চারটার দিকে মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ আটক করে ইয়াহিয়ার সহযোগী তানভীরকে।
মুন্নী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুর গ্রামের ইতালী প্রবাসী হিফজুর রহমানের মেয়ে ও দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর মাত্র ক’দিন পরই এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিলো তার।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বাসার দ্বিতীয় তলায় মুন্নীদের ঘরে প্রবেশ করে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে খুন করে মুন্নীর ‘কথিত প্রেমিক’ বখাটে ইয়াহিয়া।
পুলিশ জানায়, মায়ের সামনেই ছুরিকাঘাত করা হয় মুন্নীকে। সেসময় মা রাহেলা খাতুন মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক ইয়াহিয়া। বখাটে ঘাতকের বাড়ি উপজেলার সাকিতপুর গ্রামে। তার পিতার নাম জামাল সরদার। ঘটনার সময় ঘাতকের সাথে থাকা চার সহযোগী দুই মটর সাইকেল নিয়ে নিচ তলায় অবস্থান করছিল। ঘটনার পরপরই ঘাতক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। বখাটে ঘাতক ইয়াহিয়া সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মিয়ার হয়ে মিছিল মিটিংয়ে সম্পৃক্ত থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে জানা যায়।