রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের গণহত্যা মামলায় ২৩ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী আদেশ দেবে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
আলজাজিরা জানায়, গাম্বিয়ার আইন মন্ত্রণালয় সোমবার এক টুইটে এ কথা জানিয়েছে।
তবে এ নিয়ে আইসিজে এখনো কোনো তারিখ ঘোষণা করেনি।
এরই মধ্যে মামলার বাদি গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নিতে আইসিজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আদালত।
মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে অভিযোগে গত বছরের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট এই মুসলিম দেশটি।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে গণহত্যা, গণধর্ষণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে অভিযোগে ওই মামলা করা হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এ নিয়ে শুনানি শুরু হয়। সেদিন গাম্বিয়ার পক্ষে মামলায় প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। ওই শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারক সোমালিয়ার নাগরিক আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।
এতে ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার জাতিগত নিধন চালানোর অভিযোগ এনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের বৃদ্ধি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। ওই গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিতে আইসিজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি।
আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ‘অন্তর্বর্তী আদেশ’ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় গাম্বিয়া। তবে মামলার চূড়ান্ত রায় পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরের দিন শুনানিতে অংশ নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চি গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং আদালতের এ বিষয়ে শুনানি করার এখতিয়ার নেই বলেও দাবি করেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের মুখে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।