কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বাঙালিদের বসানো অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার পাশাপাশি পরিত্যক্ত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার দিনব্যাপি অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে রাস্তার দু’ পাশে অবৈধভাবে বসানো সব দোকানপাট, স্থাপনা ও অস্থায়ী বসতি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে রোহিঙ্গারা এলপি গ্যাস ও হারবাল সামগ্রীসহ বার্মিজ ও চাইনিজ পণ্যের যে দোকান বসিয়েছিল সেগুলোও তুলে দেয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উখিয়ার সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় অভিযান। কোর্টবাজার থেকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত অভিযান চলে। শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে অভিযান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অভিযান চলাকালে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় রাস্তার পাশে চার শতাধিক ঘড়বাড়ি, অবৈধ স্থাপনা ও অস্থায়ী বাজার। সেসময়রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত গাড়িও পাওয়া যায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি, সরকারি খাস জমি ও বন বিভাগের জমি উদ্ধারের লক্ষ্যে এ রুটিন অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে একরামুল ছিদ্দিক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: রাস্তার দু’ পাশে এ সব অবৈধ স্থাপনার কারণে জনগণের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সেখানে অবৈধ সব দোকানপাটের কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণবাহী ট্রাক ও রিলিফ গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশে সমস্যা হচ্ছিল।
যানজটের কারণে পর্যটকবাহি গাড়িগুলো সেন্টমার্টিনে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছিল জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন মৌসুমে গাড়িগুলো যেনো ঠিকমতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে সে লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কুতুপালং বাজারে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কক্সবাজার সহকারি পুলিশ সুপার বাবুল বণিক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, অভিযানে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা তিনটি গাড়ি, ফলের দোকান, বাড়িঘর ও অস্থায়ী বাজার উচ্ছেদ করা হয়। সৌন্দর্য বর্ধনসহ জনগণের চলাচলের পথ সুগম করাসহ যেকোন ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এ উচ্ছেদ অভিযান বলে উল্লেখ করেন তিনি।