কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাশের এলাকায় তৃতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে কলেরা টিকা খাওয়ানো কার্যক্রম। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের জামতলী এলাকায় ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান প্রকল্পের (ইপিআই) প্রোগ্রাম ম্যানেজার আলতাফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯০৬ জন রোহিঙ্গাকে কলেরা টিকা দেয়া হবে। এছাড়াও এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে ১ লক্ষ ৩৫ জন স্থানীয় জনগোষ্ঠি।
জানা গেছে, দুই রাউন্ডে কলেরা টিকা খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে রোববার থেকে প্রথম রাউন্ড শুরু হয়ে চলবে ৯ মে পর্যন্ত। যারা ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবরের পরে বাংলাদেশে এসেছে তাদের মধ্যে ১ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে ১ম ডোজ টিকা দেয়া হবে।
আর যারা ওই সময়ের পূর্বে এসেছে তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি বয়সের সকলকে ২য় ডোজ টিকা দেয়া হবে।
এছাড়াও ১ থেকে ৫ বছর বয়সের মধ্যে যে সকল শিশু ইতোমধ্যে ২ ডোজ কলেরা টিকা পেয়েছে তারা এবারের ক্যাম্পেইনের বাইরে থাকবে।
এদিকে যেখানে মিয়ানমার জনগোষ্ঠি স্থানীয় জনগোষ্ঠির সাথে মিশে গেছে সেখানে ১ বছরের বেশি বয়সী সকল জনগোষ্ঠিকে ১ম ডোজ টিকা দেয়া হবে।
একইভাবে এদের মধ্যেও ১ থেকে ৫ বছর বয়সী যেসকল শিশু ইতোমধ্যে ২ ডোজ কলেরা টিকা পেয়েছে সেসব শিশুরা এবারের ক্যাম্পেইনের বাইরে থাকবে।
কলেরা ঠিকা ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. আলতাফ হোসেন বলেন, বর্ষায় রোহিঙ্গা শিবিরে পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে কলেরা রোগ অন্যতম। কলেরা রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও সফলভাবে কলেরা টিকা দেওয়া হয়। এবারও সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। এর আগে দুই দফায় কলেরা টিকা প্রদান করা হয়েছে।