জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে ভারত। ঢাকায় যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন: ঘরছাড়া মানুষগুলো রাখাইনে ফিরে গেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
দু’দেশের মধ্যে চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে চলমান প্রকল্প এবং অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।
সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্সের কথা পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি দু’দেশই নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে ঐক্যমত হয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরা থেকে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি নিশ্চিত করা ছাড়াও সড়ক, নৌ এবং রেলপথে যোগাযোগ বাড়াতে নতুন ৫টি রুট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালকে সঙ্গে নিয়ে আপাতত ত্রিদেশীয় মোটরযোগাযোগ চালু করতেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানালেও সে বিষয়ে কোন কথা বলেননি সুষমা।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে তেল-গ্যাস ক্রয়-বিক্রয় এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহায়ক কেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে দুই মন্ত্রী জানান বৈঠকের বিস্তারিত।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পর্ক কৌশলগত সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। এই সম্পর্ক সার্বভৌমত্ব, সমতা এবং বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে।
রোববার দুপুরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লী থেকে ঢাকা পৌঁছালে সুষমা স্বরাজকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। এয়ারবেইজের স্বাগত চা-পর্ব শেষ করে বিকালে দুই মন্ত্রী যোগ দেন দু’দেশের মধ্যে চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: