চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনিসেফ’র নানা উদ্যোগ

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া নারী-পুরুষ ও শিশুদের ডায়রিয়া ও কলেরাসহ নানা রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিসেফ। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, শিশুদের পুষ্টি ও বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদানের লক্ষ্যেও কাজ করছে ইউনিসেফ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আমরা দেখতে পাচ্ছি সেখানকার বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত এবং শিশুরা রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও কলেরার উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিতে শিশুরা। এসব বিষয়ে অবগত হয়ে আমরা স্বাস্থ্যখাতে কাজের ওপর জোর দিয়েছি।

ইউনিসেফ জানায়, ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এদের মধ্যে নতুন করে আসা প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ অপরিকল্পিত পরিকাঠামোতে সীমাবদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে বাস করছে। এদের মধ্যে ৬২ শতাংশ শিশু রয়েছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের নিচে ৩০ শতাংশ শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ হাজার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শিশুদের অপুষ্টি, ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে টিকা প্রদান ও সচেতনতা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিসেফ কাজ শুরু করেছে। তারা প্রতিরোধের পাশাপাশি চিকিৎসার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ইউনিসেফ যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে কাজ করছে তা হলো: খাবার পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, কলেরা প্রতিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, জীবন রক্ষাকারী বার্তা নিয়ে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কাছে যাওয়া।

ক্যাম্পগুলোতে টিউবয়েল স্থাপন করে বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ করছে ইউনিসেফ। আর যেসব স্থানে টিউবয়েল স্থাপন করা সম্ভব হয়নি সেসব স্থানে ট্যাংক বসিয়ে পানি সরবরাহ করছে। এসব ট্যাংকে ট্রাকে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় আড়াই হাজার পানি সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপন, সাড়ে ১৫ হাজার টয়লেট স্থাপন, হাত ধোয়ার ২১ হাজার উপকরণসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত পানি সরবরাহ ও টয়লেট স্থাপন এবং সংক্রামক প্রতিরোধে কাজ করছে।

ইউনিসেফ-এর পাশাপাশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান যেমন- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, আইসিডিডিআরবি, এমএসএফসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এসব কাজ করছে।

অক্টোবরের মধ্যে এক বছরের নিচে সকল শিশুকে কলেরা টিকা দেয়া সম্পর্কিত মৌখিক প্রচারণা কার্যক্রম সম্পন্নসহ ৭ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ হাজার কলেরা টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে ইউনিসেফ। আর প্রচারণা কার্যক্রম আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে।

এছাড়াও ডায়রিয়া ও কলেরাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপশি জীবনরক্ষাকারী বার্তা পৌঁছানোর ‘আদর্শ মা’ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০ জন মা’কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যারা ইউনিসেফ’র অস্থায়ী তথ্য প্রদান ও সারা গ্রহণ কেন্দ্রে কাজ করছেন। এখান থেকে তারা ডায়রিয়া ও কলেরা প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিয়ে কাজ করছেন।