মিয়ানমারে নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে সোমবার ১৭টি পয়েন্টে শুরু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির নিবন্ধন। এছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আর রোববার থেকে শুরু হয়েছে তাদের জন্য নতুন ক্যাম্প নির্মাণের প্রক্রিয়া।
রাস্তায় এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট স্থানে ক্যাম্পের ভেতর নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ মোহাম্মদ কামাল।
জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরু থেকে যে সব রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হবে। এ জন্য ১৭ টি পয়েন্ট সনাক্ত করা হয়েছে। এসব পয়েন্টে তাদের ডিজিটাল নিবন্ধন করা হবে।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বানের পানির মতো এদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। সীমান্ত দিয়ে যে যেভাবে পারছে অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গার মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ সহ নানাভাবে আহত। এসব রোহিঙ্গারা ভিড় করছে টেকনাফ ও উখিয়ার সড়ক থেকে শুরু করে ক্যাম্প গুলোতে। মুসলিম সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি পালিয়ে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস অভিযানের মুখে কাটাতারের বেড়া, নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে রাত-দিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই পারাপারে নৌকা ডুবে প্রাণহানি ঘটছে।