লক্ষ্মীপুরে রোপা আমান আবাদে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকা ছাড়া জেলা বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক আমন আবাদে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। এর মধ্যে গত বছর মিরিকা জাতের ধান আবাদ করে ভাল ফলন পাওয়ায় এবারো ঐ ধানের আবাদের পিছনে ঝুঁকছে কৃষক।
এ বছর কৃষক আরো বেশী নেরিকা জাতের ধান আবাদ করছে। তবে আবাদ কিছুটা ব্যহত হলেও একর প্রতি ৮০ থেকে ৮৪ মণ পলন পাওয়ার আশা কৃষকের। স্থানীয় কৃষক বলেন, যে ভাবে ধান লাগানোর কথা সেভাবে লা্গাইছি ধানের ফলন ভাল হবে আশা করছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৭৯হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, উচ্চ ফলনশীল জাতের ৫১হাজার ৯৮৬ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৭হাজার ৯০ হেক্টর। জাতগুলোর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল ৩২,৩৯,৪১, ৪২ সহ বিভিন্ন জাত। এর মধ্যে ৪১ হচ্ছে লবন সয়িষ্ণু জাত। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮ মে,টন চাউল। তবে গত আবাদের পরিমাণ ছিলো, এর পরিমাণ ছিলো ৮৪ হাজার হেক্টর।
লক্ষ্মীপুরের খামারবাড়ীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ইতিমধ্যে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
আর কৃষকদের আশা, আমন ওঠার পর ঐ জমিতে শীতকালীন সবজি ছাড়াও সরিশা চাষের চিন্তা আছে তাদের।