রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এলেও পুরনো ক্লাবের সাফল্যকে পুঁজি করে আরও একবার ইউরোপসেরা হওয়ার দৌড়ে জোরেশোরেই ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দৌড়ে ছিলেন লিভারপুলের মোহামেদ সালাহও। কিন্তু পর্তুগিজ ও মিশরীয় তারকাকে টপকে প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ।
মদ্রিচের রাতে উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি গেছে ভলফসবুর্গের ডেনিশ ফরোয়ার্ড পারনিল্লে হার্ডারের ঘরে।
মোনাকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানে ইউরোপসেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয় ক্রোয়েট মিডফিল্ডার মদ্রিচের নাম। তার আগেই অবশ্য গত মৌসুমের পারফরম্যান্সের জন্য বর্ষসেরা মিডফিল্ডারও নির্বাচিত হন রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এ তারকা।
রিয়ালকে ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টাইটেল জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল মদ্রিচের। গত মৌসুমে বার্নাব্যু জায়ান্টদের হয়ে উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছেন। সেইসঙ্গে রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ও জিতে নিয়েছেন দলটির অধিনায়ক।
রোনালদোর সঙ্গে মিলে রিয়ালকে ১৩তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এনে দিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন মদ্রিচ। তবে ক্রোয়েট অধিনায়ককে এগিয়ে দিল বিশ্বকাপ সাফল্যই। যদিও বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে গেছে তার দেশ। আর লিভারপুলের হয়ে এক মৌসুমে ৪৪ গোলের কীর্তি গড়া সালাহ দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুললেও শিরোপা জেতাতে পারেননি। চোট নিয়ে আলো ছড়াতে পারেননি বিশ্বকাপেও।
রোনালদো তিনবার উয়েফা সেরা হয়েছেন। তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির হাতে দুবার উঠেছে এই খেতাব। রোনালদো-মেসির বাইরে কেবল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরির এই কীর্তি গড়ার গৌরব ছিল এতদিন।
মোনাকোতে পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রে ছিল রিয়াল মাদ্রিদের জয়জয়কার। গত মৌসুমের জন্য সেরা ফরোয়ার্ড হয়েছেন রোনালদো। পাশাপাশি সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন তার সাবেক সতীর্থ রিয়ালের কেইলর নাভাস। সেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার গেছে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের ঝুলিতে। সেরা খেলোয়াড় ও সেরা মিডফিল্ডারের অ্যাওয়ার্ড তো রিয়ালের লুকা মদ্রিচেরই।