জিরু-গ্রিজমানের ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম বারে মতো ইউরোপ সেরার মুকুট জিতে নিল পর্তুগাল। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকারপর অতিরিক্ত সময়ের ১৯ মিনিটে এডারের দূর পাল্লার শট লক্ষ্য ভেদ করলে শিরোপা চলে যায় পর্তুগালের ঘরে। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে এবারই প্রথম নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল হলো না।
নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনা ফেরে খেলায়। ৬৫তম
মিনিটে কিংসলে কোমানের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ
পেয়েছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু বল একটুর জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ১০
মিনিট বাদে আবারও পর্তুগালের গোলবারে গ্রিজমানের হানা। এ যাত্রায়
পর্তুগালকে রক্ষা করে পাত্রিসিও’র বিশ্বস্ত গ্লাভস।
নির্ধারিত সময়
শেষের মাত্র ১০ মিনিট আগে পর্তুগালে পক্ষে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন ন্যানি।
প্রায় গোল লাইন অতিক্রম করা বল ফেরান গোলরক্ষক লরিস। এরপর দু’দলের অব্যাহত
চেষ্টার পরও খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে।
অতিরিক্ত সময়ের ১৯ মিনিটে পর্তুগালে জালে বল জড়িয়ে ইতিহাস গড়েন এডের।
এডেরের ডি-বক্সের বাইরে থেকে দূর পাল্লার শট আচমকা নিচু হয়ে ফরাসি জালে
জায়গা করে নেয়।
২০০৪ সালে নিজেদের মাঠে প্রথমবারের মতো ইউরো ফাইনাল খেললেও গ্রিসের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হয়েছিলো পর্তুগিজদের।
সময়ে
সময়ে রঙ বদলানো ফাইনালের গল্পটা হতে পারতো রোনালদো ময়। ম্যাচের প্রথমার্ধে
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইনজুরি খেলার রঙ কিছুটা কেড়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত
শিরোপার হাসি হাসে পর্তুগাল।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে দিমিত্রি পায়েতের অবৈধ ট্যাকলিংয়ের শিকার হন সি আর
সেভেন।
দু’মিনিট বাদে মাঠে ফিরলেও; ২৪ মিনিটে দৌঁড়াতে গিয়ে থেমে যান তিনি।
এরপরই কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়েন দ্বিতীয় বারের মতো ইউরোর ফাইনাল খেলতে
আসা রোনালদো।