গত মাসে খবর বের হয়, রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি জমানোর পর লা লিগা দেখা ছেড়ে দিয়েছেন ৭০% দর্শক। মানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জন দর্শক নেই। তারা সবাই তুরিনের ক্লাবের ভক্ত!
তার আগের খবর, ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল থেকে জুভেন্টাসে এসেছেন জার্সি। এর মধ্যেই বিনিয়োগের ফল পাচ্ছে তুরিনের বুড়িরা। টুইটারে অনুসারী সংখ্যা বেড়ে গেছে অনেক। স্পনসরদের ভিড়ও বেড়েছে। আর জুভেন্টাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহও বেড়েছে।
গত বছরে সেপ্টেম্বরের খবর, রোনালদোর জন্য শেয়ারে জুভেন্টাসের ঐতিহাসিক উত্থান। তাতে বলা হয়, ইতালির সামগ্রিক শেয়ার বাজার যখন পতনের দিকে, তখন জুভেন্টাসের শেয়ারের দর গত মাসের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে!রোনালদো ক্লাবটিতে যোগ দেয়ার পরই মিলান স্টক এক্সচেঞ্জে তাদের প্রভাব বাড়ছে।
রোনালদো যোগ দেয়ার পর জুভদের শেয়ারের দাম পৌঁছে যায় ১.৪৭ ইউরোতে। এর আগের রেকর্ডটি ২০০২ সালের ৩ জানুয়ারির। তখন শেয়ারের দাম ওঠে ১.৩২ ইউরো।
সিআর সেভেনের কারণে ক্লাবের সাধারণ মূলধনও ঐতিহাসিক উচ্চতায় উঠেছে। সর্বোচ্চ মূল্যে উঠেছে ১৩৫০ মিলিয়নে। স্টক মূল্য বছরের শুরুতে যা ছিল, এটি সার্বিকভাবে তার চেয়ে ৮৬ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা তখন বলে রেখেছিলেন, আসন্ন দিনগুলোতে শেয়ার বাজারে জুভেন্টাসের এই প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যতবাণী সত্যি হয়ে ধরা দিচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর মাদ্রিদের বিপক্ষে জেতার পর জুভেন্টাসের শেয়ারের দর আরও বেড়ে গেছে। ইতালির পুঁজি বাজারে সেটাই দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে রোনালদোর দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করে জুভেন্টাস। পরের দিন, অর্থাৎ বুধবার মিলান স্টকএক্সচেঞ্জে জুভেন্টাসের শেয়ারের দর ২৬ শতাংশ বেড়ে যায়। তার আগেরদিনই অবশ্য এই দর কিছুটা নিম্নমুখী ছিল।
শুধু জুভেন্টাসেরই নয়, একই সঙ্গে ইতালির পুরো শেয়ার বাজারই চাঙা হয়ে উঠে। বুধবার বিকেলে শেয়ারের মূল্য স্থগিত হওয়ার পর দেখা যায় স্টকএক্সচেঞ্জ ওপেনিং মূল্যের চেয়ে ১৬% শতাংশ বেশি লাভ করেছে।
রোনালদোর জন্য জুভেন্টাসের শেয়ার দর যখন চড়চড় করে বাড়ছে, তখন রিয়াল মাদ্রিদের শেয়ার দর হারাচ্ছে। ঘরের মাঠে রিয়াল হারার তাদের শেয়ারের দর ১২ % কমে গেছে।