কয়েকজন ফুটবলার করোনা পজেটিভ হওয়ায় গত সপ্তাহে সিরি ‘আ’র ম্যাচ খেলতে জুভেন্টাসে যেতে পারেনি নাপোলি। দলটির উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জুড়ে দেয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আর যার কারণে মাঠেই নামা হয়নি জেনারো গাত্তুসোর দলের। ফলে কোনো ম্যাচ না খেলেই ৩-০ গোলের জয় পায় ইতালিয়ান লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস।
আর ম্যাচে আসতে না পারায় নাপোলিকে সমালোচনা করেছিলেন জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগেনেল্লি। সেই সমালোচনা সইতে না পেরে আগেনেল্লি ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে একহাত নিয়েছেন কাম্পানিয়া প্রদেশের গভর্নর ভিনসেনজো ডে লুকা।
দুই সপ্তাহ আগে জেনোয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পর করোনা টেস্টে পজেটিভ হন নাপোলির একাধিক ফুটবলার। ঝুঁকিতে ছিলেন নাপোলি কোচ গাত্তুসো। এই অবস্থায় আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পাশাপাশি দলটিকে শহরের বাইরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নাপোলি আসতে না পারায় গত শনিবারের ম্যাচের পর দলটির সমালোচনা করে বিবৃতি দেন জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট, ‘কোন একটা দলের মাঠে খেলতে আসতে না পারা কোনো ভালো অর্থ বহন করে না। আমরা বেশি মাত্রায় আঞ্চলিক। আমাদের সীমান্তের বাইরে কি হচ্ছে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। আমাদের ভাবনা কেবল নিজেদের ঘিরেই, তাতে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে আমাদের সুনাম কতটা নষ্ট হচ্ছে তা নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না। ’
আগেনেল্লির এমন সমালোচনা মোটেও ভালো লাগেনি কাম্পানিয়ার গভর্নর ডে লুকার। তার প্রদেশের রাজধানী নেপলসের দল নাপোলি, তাই নিজ শহরের ফুটবলের সমালোচনা ভীষণ খেপিয়েছে তাকে। পাল্টা তীর ছুঁড়েছেন জুভ প্রেসিডেন্টের দিকে।
‘নাপোলি খেলতে যেতে পারেনি কারণ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাদের যেতে হয়নি আর জুভেন্টাস তখন সিদ্ধান্ত নিলো তারা স্টেডিয়ামে যাবে আর পরে বল বয়দের সঙ্গে খেলে সময় কাটিয়েছে। শোপেনহাউয়ার (জার্মান দার্শনিক) বলেছিলেন “হার-জিতে কোনো লজ্জা নেই”। যদি আমি এমন আচরণ করতে থাকি তাহলে আমি কেবল আমার নিজের সম্মানই হারাবো।’
আর নাপোলি খেলতে যেতে না পারায় জুভেন্টাসের ধন্যবাদ জানানো উচিৎ ছিলো বলে মনে করেন ডে লুকা, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে করোনায় আক্রান্ত হয়নি সেজন্য কেউ আমাদের ধন্যবাদ জানায়নি পর্যন্ত। একবার ভাবুন জেনোয়া ম্যাচের পর আমরা একাধিক করোনা পজেটিভ খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে গেলাম আর রোনালদো আবারও করোনায় আক্রান্ত হলো, তাহলে তো আমরা নিউইয়র্ক টাইমসের প্রচ্ছদে জায়গা পেয়ে যেতাম!’