অনেকেরই ধারণা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন না। কিন্তু ধারণাটি ভুল। উচ্চ রক্তচাপের রোগী অন্যদের মতোই রোজা রাখতে পারবেন। তবে যে সব রোগী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের রোজায় সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ রোগীর রোজা রাখার বিষয়ে কিছু করনীয় সম্পর্কে।
সঠিক খাবার নির্বাচন
- তেলে ভাজা খাবার রক্তচাপ বাড়াতে পারে । তাই ভাজাপোড়া খাবারের বদলে সেদ্ধ করা খাবার, স্যুপ, ফল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- অতিরিক্ত লবণ কিংবা বিট লবণ-যুক্ত খাবার এড়াতে হবে।
- টেস্টিং সল্ট, সয়া সস, ওয়েস্টার সস, আঁচার ইত্যাদি খাবারে প্রচুর লবণ থাকে। তাই এইধরনের খাবার এড়াতে হবে। চেষ্টা করতে হবে বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়িতেই এসব উপাদান ছাড়া ইফতার তৈরি করে খাওয়ার।
- ফাস্টফুড, বিরিয়ানি কিংবা যে কোনো ধরণের ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তার বদলে সেদ্ধ, ঝলসানো কিংবা বেক করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- লো ফ্যাট দুধ কিংবা লো ফ্যাট দই খাওয়া যাবে।
- পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ইফতারে পটাশিয়াম যুক্ত ফল খেজুর, কলা, আম, বেল ইত্যাদি খেতে হবে।
ওষুধ বাদ না দেওয়া
যারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার সময় ঠিক করে নেবেন। সঠিক খাবারের পাশাপাশি রোজার সময় সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়া জরুরি।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই রমজান মাসই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ার জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময়। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতার শেষে ধূমপানের অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
পর্যাপ্ত ঘুম
রমজান মাসে যেহেতু সেহরির জন্য শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়, সেহেতু একটু আগেই ঘুমিয়ে পরার অভ্যাস করুন। তারাবির নামাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরুন। পরিমিত ঘুমের অভাবে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
রোজা রেখে অসুস্থ বোধ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে রক্তচাপ মাপতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেন, তাঁদের রক্তের সোডিয়াম হঠাৎ কমে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পনের রোজায় একবার সিরাম ইলেকট্রোলাইটস পরীক্ষা করতে পারেন। আল-অ্যারাবিয়া।