চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা

রমজান মাসে রোজা রাখতে গেলে একটু বাড়তি সতর্ক তো সবাইকেই থাকতে হয়। কারণ সময়ের হিসেবে তা অনেক বেশি। আর তা যদি হয় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তবে তার জন্য সতর্কতা আরও বেশি দরকার। তাই রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু ডাক্তারী পরামর্শ—

  • যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা যদি রোজা রাখতে চায়, তবে তাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। কারণ, তখন তাদের ঔষধ সিডিউল পরিবর্তন হবে। অন্যদিকে যারা ইনসুলিন নেন, তাদের তিনবেলা ইনসুলিনের পরিবর্তে হয়তো এক/দুই বেলার ডোজ দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে অল্প ডোজেই যেন তা বেশি সময় কার্যকর হয়, এভাবেই ডোজ দেওয়া হবে।
  • রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রধান সতর্কতা ব্লাডে সুগারের লেভেল কমা/বাড়া। যাকে বলে হাইপোগ্লাসোমিয়া এবং হাইপারগ্লাসোমিয়া। দুইটি বিষয়ই তাদের জন্য বিপজ্জনক। তাই অন্য সময়ের চেয়ে রোজায় তাদের চেকআপটা আরও বেশি করাতে হবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্লাডসুগার ৩.৩ মিলিমোল–এর কম হলে এবং ১৬–এর বেশি হলে সে আর রোজা রাখতে পারবে না। কারণ, হাইপোগ্লাসোমিয়া এবং হাইপারগ্লাসোমিয়া দুটিই তার জন্য ক্ষতিকর।
  • রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরীতে একেবারে শেষ সময়ে খাবেন। তাহলে জ্বালানীটা বেশি সময় ধরে কাজ করবে। এছাড়া যে সব খাবার অনেক দেরিতে হজম হয় (যেমন: ভাত, ডাল ইত্যাদি) সেগুলো খাবেন।
  • সেহরীর কিছু সময় পর যদি দেখেন ব্লাড সুগার ৩.৯–এ আছে, তখন বুঝতে হবে দিনে তা আরও কমবে। তাই তার রোজা আর চালিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।
  • রোজায় সাধারণত ব্লাডে সুগার কমে, কিন্তু অনেক সময় তা বেড়েও যেতে পারে। আর বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস রোগী মারাও যেতে পারেন। আমাদের লিভারে সাধারণত কিছু সুগার জমা থাকে। সময় মতো না খেলে তা ভেঙ্গে শরীরে শক্তি দিতে থাকে। আর ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ভাঙ্গনটা হয় অনেক বেশি। তাই সুগারের পরিমাণ বেড়ে তার মৃত্যুও হতে পারে।
  • ডায়াবেটিসের কারণে যাদের কিডনি, হার্টের অসুখ, চোখের সমস্যাসহ আরও অনেক রোগ আছে তাদের কোনো ভাবেই রোজা রাখা যাবে না।

পরামর্শ ‍দিয়েছেন ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।