রমজান মাসের ধকলটা আর সবার চেয়ে গৃহিণীদের ওপর দিয়েই বেশি যায়। তাই রমজানে গৃহিণীদের সুস্বাস্থ্যর প্রতি নজর দিতে হবে। তাদের জন্য আজ থাকছে কিছু ডাক্তারী পরামর্শ—
- শুধু নিজে রোজা থাকাই নয়, পরিবারের সবার রোজা রাখা, খাবার-দাবার সব কিছুর জন্য তদারকির দায়িত্ব থাকে পরিবারের কর্ত্রীর ওপর। তাই আগে তার সুস্থতাকে নিশ্চিত করতে হবে।
- গৃহিণীরা ঘরের কাজ সামলানোর পাশাপাশি রোজা রেখে কেনাকাটায়ও যান। তাই বাইরে যাবার সময় তারা অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। এছাড়া পুরু সানব্লক ব্যবহার করতে হবে, বাইরে বের হবার অন্তত আধঘন্টা আগে। তাহলে তাপ থেকে ত্বককে রক্ষার পাশাপাশি মানাসিক স্বস্তিটাও পাবেন।
- শুধু রোদে গেলেই যে সানব্লক ব্যবহার করবেন তা নয়। রোজায় বা বছরের অন্যান্য সময়ও রান্নার সময় সানব্লক ব্যবহার করতে হবে। রান্নার অন্তত আধঘন্টা আগে তা ব্যবহার করুন। কারণ, শুধু যে সূর্যের তাপে ত্বক পোড়ে তা নয়, আগুনের তাপেও ত্বক পোড়ে।
- বাইরে বের হলে চোখটাকে একটু স্বস্তি দিতে ছেলেদের মতো মহিলারাও রোদচশমা ব্যবহার করবেন। অনেক মহিলাকে দেখা যায়, সে হয়তো লজ্জায় রোদচশমা পড়ছেন না। এটা তার নিজের জন্যই ক্ষতি।
- শত ব্যস্ততার মাঝেও রমজান মাসে মহিলাদের ৬-৭ ঘন্টা ঘুমকে নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা ইফতারের পর নামাজ, রাতের খাবার সব দ্রুত সেরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন। যাতে ঘুমের অসুবিধা না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখবেন।
- ইফতারের পর পানি, ফলমূল, আমিষ জাতীয় খাবার খাবেন বেশি বেশি।
- মহিলারা রোজায় সংসারে অনেক কাজ থাকলেও তা একটানা করবেননা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন। নইলে একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
সর্বোপরি নিয়ম মেনে চলুন, সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ছবি: সংগৃহীত