রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে একটি রেস্টুরেন্টে লোকজন বসিয়ে খাবার পরিবেশন করার অপরাধে মালিককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমান আদালত।
এছাড়াও জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় ডিএনসিসির ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে গুলশান-২ নম্বর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মাস্ক না পরায় আট জনকে ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে দারুসসালাম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে ১০ জনকে মোট এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোড এবং ময়লার মোড় এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে যথাযথভাবে মাস্ক না পরার কারণে ১০টি মামলায় মোট এক হাজার ২৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ১টি হোটেলের ভিতরে লোকজনকে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের অপরাধে হোটেল মালিককে পাঁচ হাজার জরিমানা করা হয়। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ৯০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অঞ্চল ১০ এর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মাস্ক না থাকায়, সরকারের জারি করা আদেশ অমান্য করায় এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় দুটি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া বাজার মনিটরিং করে, বাজার কমিটির সাথে কথা বলে সকল স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য এবং বাজার মূল্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মোট ৮ টি মামলায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জনগণকে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।