‘রেড মিট’ নিয়ে চলমান বিতর্ক নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)’র প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রেড কিংবা বেকন স্যান্ডউইচের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার আর প্লুটোনিয়াম খাওয়া একই বিষয়। এটা ধূমপানের থেকে কম ক্ষতিকর নয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রক্রিয়াজাত মাংস খাবার হিসেবে গ্রহণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, গবেষণায় তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিবেদনকে পক্ষপাতমূলক এবং ভুল বলে দাবি করেছে নর্থ আমেরিকা মাংস গবেষণা ইনিস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কোনো একটি লক্ষ্য নির্ধারিত করে এ গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যা নাটকীয় এবং ভীতিকর। এরকম অনুমান নির্ভর গবেষণা না করাই ভালো।
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, ২২ জন গবেষক নতুন কোনো তথ্য সংগ্রহ না করেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
দ্য ইকোনোমিস্ট এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেডমিট কম প্রাণনাশক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে খাদ্যাভাস তুলে ধরা হয়নি। তবে যে কোনো মানুষের রেড মিট থেকে দূরে থাকা উচিত। রেডমিট থেকে সংযমে থাকতে পারলেই ভালো।
সবচেয়ে নিরাপদ রেড মিটের স্বাদ ভিন্ন ভাবে মাঝে মাঝে স্টেক খাওয়ার মধ্য দিয়ে নেওয়া। এর মাঝে ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক ও প্রোটিন রয়েছে। তবে কদাচিত খেতে হবে সসেজ, হ্যামবার্গার। ফলমূল, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে একেবারেই ক্যান্সারের ঝুঁকি নেই।
কিছু গবেষক বলছেন, চর্বিযুক্ত খাবার সবসময় খারাপ না। রেড মিট ক্ষতিকারণ কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টের মতো ক্ষতিকারক না। রেড মিটে ক্যান্সার নতুন কিছু নয়। ২০০৭ সালে, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড একটি বইতে প্রকাশ করে সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের বেশী রেড মিট না খাওয়া। খাদ্যাভাস থেকে এড়িয়ে চলতে বলা হয় প্রক্রিয়াজাত মাংস, বেকন ও বার্গার।
প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রহণের জন্য বিশ্বে প্রতি বছর ৩৪ হাজার মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। বিপরীতে তামাক সেবনের কারণে প্রতিবছর ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ লাখ। মদপানের জন্য ক্যান্সারে ভুগে মারা যায় ৬ লাখ। বায়ু দূষণজনিত কারণে ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ।