অস্কারের মৌসুম সামনে। মহামারি কারণে পিছিয়ে গেছে অস্কারের আয়োজন। ফেব্রুয়ারির বদলে অস্কারের আসর বসবে ২৫ এপ্রিল। এবছরের আয়োজন ভার্চুয়ালি করা হবে জুম-এর মাধ্যমে।
প্রতিবছরের এই সময়টাতে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায় অস্কার নিয়ে। দৌড়ে এগিয়ে আছে কোন কোন ছবি তা আঁচ করা যায় এসময়ে। কিন্তু এবছর দীর্ঘ সময় ধরে থিয়েটার বন্ধ ছিল। অনেক প্রতীক্ষিত ছবি মুক্তি পায়নি। অনেক ছবি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
অস্কারের চিরাচরিত নিয়ম হলো মনোনয়ন পেতে হলে ছবি মুক্তি পেতে হবে হলে। কিন্তু মহামারির কারণে এবছর এই নিয়মে ছাড় দিতে বাধ্য হয়েছে অস্কার কর্তৃপক্ষ।
২০০০ সাল থেকে অস্কার নিয়ে প্রতিবেদন করেন ‘ফর অ্যাওয়ার্ডস ডেইলি’র প্রতিষ্ঠাতা সাশা স্টোন। তার মতে, এবারের মতো গ্ল্যামারহীন, লাল কার্পেট ছাড়া অস্কার তিনি আর দেখেননি।
সনি পিকচার্স ক্লাসিকস এর কো-প্রেসিডেন্ট টম বেরনার্ড মনে করছেন, এবছর ভোটিং এর ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিবে।
এবছর স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি,’ ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘দ্য ফ্রেঞ্চ ডিস্প্যাচ’ এর মতো বহু প্রতীক্ষিত ছবির মুক্তি পিছিয়ে গেছে। এতে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে গেছে অনেক কম বাজেটের সিনেমা। কোল ঝাও-এর ‘নোম্যাডল্যাড’, লি আইস্যাক চাং-এর ‘মিনারি,’ রেজিনা কিং-এর ‘ওয়ান নাইট ইন মিয়ামি’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
এবছরের অস্কারের সবচেয়ে মজার বিষয়টি হলো, কোনো ব্লকবাস্টার নেই। তাই কোন ছবিটি প্রাধান্য পাচ্ছে, তা বোঝাও জটিল।
নেটফ্লিক্সের সাথে অস্কারের দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা। অথচ এবছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করেছে নেটফ্লিক্স। সেক্ষেত্রে অস্কার কী করবে সেটাও দেখার অপেক্ষায় সিনেমা বিশারদরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস