একগাদা রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচটা বিষাদের অপর নাম হতে পারত বিরাট কোহলির জন্য। শেষপর্যন্ত হয়নি। তাতে ম্যাচ ও সিরিজ দুটোই জেতা হয়েছে ভারতের। রোববার নিউজিল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১এ ঘরে তুলেছে কোহলির দল।
কানপুরে অধিনায়ক ও রোহিত শর্মার জোড়া সেঞ্চুরির দিনে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৭ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত। দেড়শ ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন রোহিত। আর ক্যারিয়ারের ৩২তম ওয়ানডে শতকের পথে দ্রুততম ৯ হাজার রানের মাইলফলকসহ রেকর্ডমাল্য পড়েছেন কোহলি। জবাবে তিন ফিফটিতে ম্যাচ জমিয়ে তোলা নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রানে আটকে যায়।
রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ১৫ দরকার পড়ে কিউইদের। কিন্তু ৯ রানের বেশি তোলা সম্ভব হয়নি। শুরুতে গাপটিল ১০ রানে ফিরলে মুনরো ও উইলিয়ামসনের ১০৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৬২ বলে ৭৫ রানে ফিরেছেন মুনরো। অধিনায়ক সাজঘরে হাঁটা দেন ৮৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে।
পরে টেইলর ৩৯, নিকোলস ৩৭ ও ল্যাথামের ৬৫ রানে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন বোনে কিউইরা। শেষপর্যন্ত খুব কাছে থেকেই ফিরতে হল তাদের।
বুমরাহ দারুণ বোলিং করেছেন, ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৩ উইকেট। সমান ওভার ও রানে ২ উইকেট চাহালের।
এর আগে শেখর ধাওয়ান (১৪) দ্রুত ফেরার পর কোহলিকে নিয়ে ২৩০ রানের জুটি গড়েন রোহিত। ১৪৭ রানের ইনিংস খেলে থেমেছেন। ১৩৮ বলের ঝলমলে ইনিংসে ১৮ চারের সঙ্গে দুটি ছয়ের মার।
কোহলি সেখানে ফিরেছেন ১১৩ রানে। ৯ চার ও এক ছয়ে ১০৬ বলের ইনিংস সাজিয়ে। সঙ্গে ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে একদিনের ম্যাচে নয় হাজারি ক্লাবে পা রেখেছেন।
একইসঙ্গে কোহলি চলতি বছর ষষ্ঠবার শতরান ছুঁয়ে সব দলের অধিনায়ককে টপকে গেছেন বছরের শীর্ষ সেঞ্চুরির দিক থেকে। আগে সৌরভ গাঙ্গুলি (২০০০), রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭), গ্রায়েম স্মিথ (২০০৫) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২০১৫) এক বছরে পাঁচটি করে শতরান করেছিলেন।
ডি ভিলিয়ার্সকে আরও একটি জায়গায় টপকে গেছেন কোহলি। দ্রুততম নয় হাজারির পথে ১৯৪ ইনিংস খেলেছেন ভারত অধিনায়ক, ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ২০৫ ইনিংস।
অধিনায়ক হিসেবে রান সংখ্যায়ও পন্টিংকে টপকে গেছেন কোহলি। ২০০৭ সালে ২৪ ইনিংসে ১৪২৪ রান করেছিলেন পন্টিং। চলতি বছর ২৬ ইনিংসে কোহলি করে ফেললেন ১৪৬০ রান।