চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রেইনট্রি’র ধর্ষকরা কারাগারে আছে রাজকীয় আরামে

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ধর্ষক সাফাত, নাঈম ও সাদমান কেরানীগঞ্জের কারাগারে বিভিন্ন নেশায় মত্ত থাকছে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে তাদের ইয়াবা সেবনও বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে কারাগারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র। তাদের নেশার বিষয়টি জানতে পেরে কারা কর্তৃপক্ষ নজরদারি বাড়িয়েছে।

ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি সাফাত আহমেদ শুরতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকলেও পরে তাকে তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। আর তার প্রিয় বন্ধু সাদমান সাকিফ ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ। অপরদিকে সাফাতের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় নাঈম আশরাফ ছিলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ তে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এখানে তাদের তিনজনকেই নিয়ে আসা হয়।কারাগারের একটি সূত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছে, বর্তমানে তিন বন্ধু কারাগারের একই সেলে রয়েছে। তারা সাধারণ কয়েদি ও হাজতীদের সঙ্গে মিলে মিশেই আছেন। তবে রাত বাড়লেই তারা সেলের ভেতরই ইয়াবা’র নেশা করছেন।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে তিন বন্ধু এক সঙ্গে কোরবানির ঈদ করেছেন। একই সেলে থাকার কারণে সবাই নিজেদের মধ্যে সবকিছু ভাগাভাগি করছেন, আনন্দ ফূর্তিতে রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কেন্দ্রীয় কারাগারের এক ডেপুটি জেলার চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন, বনানীর ধর্ষকদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।

সেলের ভেতর ধর্ষকদের মাদক সেবন সম্পর্কে জানতে চেয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।

গত ২৮ মার্চ বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তারা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ, র‌্যাগমান গ্রুপের মালিকের ছেলে সাদমান সাকিফ, সিরাজগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে নাঈম আশরাফ তার প্রকৃত নাম মো. আব্দুল হালিম,সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও গানম্যান রহমতকে আসামি করা হয়।

মামলার পর পৃথক অভিযানে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় রহমত ছাড়া চার আসামিই ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।