টাঙ্গাইলে পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত রুবেলের (১৮) সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে চলে পুলিশের নাটক। সোমবার সকাল ১০ টায় ময়নাতদন্তের কথা থাকলেও, ২২ ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৫ টায় শেষ হয় রুবেলের লাশের ময়নাতদন্তের কাজ।
এর আগে, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে শুক্রবার ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে চার জন নিহত হয়।
রুবেলের বাবার অভিযোগ, সোমবার সকাল ১০টায় রুবেলের ময়নাতদন্তের কাজ হবার কথা থাকলেও তা নিয়ে নানা টালবাহানা চলে। দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করতে বললে তারা একটি ফরম ধরিয়ে দেয়। পরে দুপর ২টার দিকে রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি শাহবাগ থানায় অবহিত করে একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে বিকেল ৪ টার দিকে শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদুল হাসান ও পুলিশ কনেস্টেবল রমজান রুবেলের মৃত্যুর একটি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। সুরতহাল রিপোর্টে তারা বন্দুক যুদ্ধে রুবেলের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। এতে আমরা প্রতিবাদ করি। আমাদের প্রতিবাদে কোন কাজ না হলে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার আ.খ.ম সফিউজ্জামান আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার সহযোগিতার ফলে পুলিশ আগের সুরতাহাল রিপোর্ট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। পরিবর্তি সময় সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ না করে কে বা কার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বলা হয় রুবেলের । এরপর সোয়া ৫ টার দিকে রুবেলকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
তিনি অরো অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসার অভাবেই মারা গেলো আমার ছেলে। তারপরেও লাশ নিয়ে পুলিশের এমন নাটক। ছেলের মৃত্যুর চেয়েও অনেক কষ্টের ঘটনা এটি। পুলিশ বলেছে আমার ছেলে বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। আমার ছেলের কোন বন্দুক নাই। আমার ছেলে কে বা কার গুলিতে মারা যায় নাই। সবাই জানে রুবেল পুলিশের গুলিতেই মারা গেছে। তারপরও পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে লিখলো আমার ছেলে কে বা কার গুলিতে মারা গেছে।