‘রিয়াল মাদ্রিদ যেকারো জন্যই স্বপ্নের। তার উপর সেখানে আছেন জিনেদিন জিদান’ -সম্প্রতি পল পগবার এমন মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যায় স্প্যানিশ রাজধানীর প্রতি তার আগ্রহের কথা। গত গ্রীষ্মেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চেয়েছিলেন পগবা। তার ক্লাব ছাড়ার কথা শোনা যায় শীতকালীন দলবদলের সময়ও।
প্রথমবার ম্যানইউ ছাড়তে চান তৎকালীন কোচ হোসে মরিনহোর সঙ্গে তার বনিবনা না হওয়ায়। দ্বিতীয়বার খবর বের হয় বার্সেলোনাকে ঘিরে। মরিনহো ম্যানইউ ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু পগবা এখনো মনে করেন, তার ক্লাব ছাড়ার ভালো সময় এখনই। ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকা আরো মনে করেন, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে স্পেন অথবা আবার ইতালিতে চ্যালেঞ্জ নেয়া উচিত।
পগবার এজেন্ট মিনো রায়োলা, যিনি আবার দর কষাকষিতে বিখ্যাত, তিনি তার ক্লায়েন্টের জন্য এরইমধ্যে জায়গা খোঁজা শুরু করেছেন। ম্যানইউ’র সঙ্গে পগবার চুক্তি আছে ২০২১’র জুন পর্যন্ত। কিন্তু ক্লাব চাইলেও নতুন চুক্তিতে সই করেননি তিনি।
পগবা যেহেতু নতুন চুক্তি করেননি, তাই ম্যানইউর দরকার তাকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব দেয়া। তা না হলে ভালো দামের ক্রেতা খোঁজা। কারণ, পগবাকে এখন ভালো দামে ছাড়তে না পারলেও আগামী গ্রীষ্মে তাকে নিয়ে দর কষাকষিতে দুর্বল পজিশনে থাকবে তারা।
পগবা বর্তমানে সাপ্তাহিক ২ লাখ ৯৮ হাজার ইউরো আয় করছেন। যদিও আনঅফিসিয়ালি তার বার্ষিক আয় ১৬ মিলিয়ন ইউরো।
জিদান আবার ফিরে আসার পর পগবা যদি রিয়ালের প্রথম বিকল্প হয়, তবে তিনি ম্যানইউ ছাড়াতে খুশি হবে তার পুরনো ক্লাব জুভেন্টাসও।
স্প্যানিশ দৈনিক দারিও এএস নিশ্চিত করছে, পগবাকে ফেরাতে জুভেন্টাসের বোর্ড কর্মকর্তারা এরইমধ্যে আর্থিক দিকটি খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন। ফলে পগবাকে পাওয়ার দৌড়ে রিয়ালকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে ফেলতে পারে তুরিনের ক্লাবটি।
শুধু আর্থিক নয়, আরো একটি কারণে রিয়ালের চেয়ে এগিয়ে থাকবে জুভরা। রায়োলার সঙ্গে জুভেন্টাসের ঘনিষ্ট সম্পর্ক এই ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে। যেটা রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্টিনো পেরেজের সঙ্গে ঠিক বিপরীত।
ফুটবল লিকসের তথ্যানুযায়ী, জুভেন্টাস থেকে পগবা যখন ম্যানইউতে যান, তখন কমিশন হিসেবে ৪৮ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিলেন রায়োলা।
পগবার বয়স ২৬ হলেও তার অভিজ্ঞতা ব্যাপক। আর এ কারণেই বড় ক্লাবগুলো কাছে টানতে চাইছে তাকে। এ বয়সেই ফরাসি তারকা ৩১০টি লিগ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন (জুভেন্টাসের হয়ে ১৭৮ ও ম্যানইউ’র হয়ে ১৩২)। গোল করেছে ৬৩টি (জুভ জার্সিতে ৩৪ ও ম্যানইউ’র হয়ে ২৯টি)।
জাতীয় দলেও পিছিয়ে নেই পগবা। ফ্রান্সের বিখ্যাত নীল জার্সিতে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৬৫টি। এখানে ১০ গোল আছে এ মিডফিল্ডারের। গত গ্রীষ্মেই ফ্রান্সের জার্সিতে জেতেন বিশ্বকাপ। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারানো ম্যাচে দিদিয়ের দেশমের দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন পগবা।