অন্য ক্লাবের জন্য মোহামেদ সালাহর দামটা ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর আশেপাশে রেখেছে লিভারপুল। কিন্তু বার্সেলোনা কিনতে চাইলেই অদ্ভুত এক শর্তের কারণে দামটা হয়ে যাচ্ছে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো! মিশরের এ ফরোয়ার্ডকে দলে টানতে চাইলে আর কোনো পথও খোলা থাকছে না কাতালান জায়ান্টদের সামনে।
ঝামেলাটা বাধিয়েছে বার্সাই। দুই বছরের টানাটানির পর ফিলিপে কৌতিনহোকে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নিজেদের দলে টানে দলটি। বার্সায় আসতে কম নাটক করেননি কৌতিনহো নিজেও। লিভারপুলের অনুশীলনে আসেননি, চোটের অভিনয় করেছেন, বারবার বলেছেন ইংল্যান্ড ছাড়তে চান। তাই বিরক্ত হয়ে একটা সময় পর এ ব্রাজিলিয়ানকে অনেকটা বাধ্য হয়েই ছেড়ে দেয় লিভারপুল।
কেবল কৌতিনহো নয়। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় লুইস সুয়ারেজ ও হাভিয়ের মাশ্চেরানোকেও লিভারপুল থেকে উড়িয়ে এনেছিল বার্সা। বারবার নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের এভাবে হারিয়ে লা লিগার জায়ান্টদের উপর বেশ বিরক্ত অলরেডরা।
কৌতিনহোকে ছাড়ার সময় তাই একটি শর্ত জুড়ে দেয় লিভারপুল। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের জন্য ১৪২ মিলিয়ন ইউরো গোনার পাশাপাশি সেই শর্তেও রাজি হতে হয়েছে বার্সাকে। শর্তটা হল- তিনবছরের জন্য লিভারপুল থেকে আর কোনো খেলোয়াড় কিনতে পারবে না তারা। আর যদি কিনতেই হয়, তাহলে খেলোয়াড়ের মূল দামের সঙ্গে গুনতে হবে বাড়তি ১০০ মিলিয়ন ইউরো! স্প্যানিশ রেডিও কাডেন সার ফাঁস করেছে অদ্ভুত এই শর্তের কথা।
সালাহর জন্য আগ্রহ আছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। লস ব্লাঙ্কসরা চাইলে দেড়শ মিলিয়নেই পাবে মিশর তারকাকে। কিন্তু সালাহকে পেতে উদগ্রীব যখন বার্সা, তখন ওই এক শর্তের কারণেই ‘মিশরের মেসি’ এখন সোনার হরিণ হয়ে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটির কাছে। কেননা ১৫০ মিলিয়নের সঙ্গে বাড়তি ১০০ মিলিয়ন; মোট ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দাম দিয়ে খেলোয়াড় কেনা বর্তমানে একপ্রকার অসম্ভবই বার্সার জন্য। আর শর্ত শেষে ২০২১ সাল পর্যন্ত আসতে আসতে সালাহর ফর্ম এখনকার মতো থাকবে কিনা সেটাও বিবেচ্য বিষয়।