২০১৩ সালে ১০১ মিলিয়ন ইউরোয় টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে বিশ্বের দামি ফুটবলার হয়ে যোগদান, পরে বলার মতো কেবল কিছু গোল, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ব্যক্তিগত সাফল্য বলতে গেলে এই-ই আছে গ্যারেথ বেলের ঝুলিতে।
একটা সময় যাকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উত্তরসূরি মনে করতো লস ব্লাঙ্কোসরা, তাকে এখন তাড়িয়ে দিতে পারলে স্বস্তি মেলে ক্লাবটির। রিয়ালের জন্য মোটামুটি এটাই আপাতত সুসংবাদ, অনেক দেন দরবারের পর ওয়েলস তারকাকে তার সাবেক ক্লাব টটেনহ্যামের কাছে ধারে পাঠানোর দ্বারপ্রান্তে স্প্যানিশরা।
রিয়ালের জার্সিতে নক্ষত্র হয়ে উঠতে না পারার পেছনে বেলের দায় আছে, আবার নেই। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আসার পর থেকেই তাকে নিজের ছায়া বানিয়েছে চোট। শুরুর দিকে বেশিরভাগ সময় সাইডবেঞ্চে বসে থাকতেন। যতটা সময় খেলতে পারতেন, নিজের জাত চেনানোর চেষ্টা করেছেন।
কোপা ডেল রের ফাইনালে বার্সার বিপক্ষে তার অবিস্মরণীয় গোল কিংবা লিভারপুলের বিপক্ষে ২০১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাইসাইকেল কিকে গোল করা দেখে রিয়াল যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছে মাদ্রিদে তাকে রাখতে।
বেল যে কখনোই রিয়ালকে নিজের ক্লাব ভাবেননি সেটা আবার তার আচরণে স্পষ্ট। সাত বছর হয়ে গেল, স্পেনের রাজধানীতে আছেন, কিন্তু বেল নাকি এখনো স্প্যানিশ শেখার চেষ্টা করেননি। স্প্যানিশ বলতে না পারা খেলোয়াড়ের সঙ্গে সতীর্থরা স্বস্তি বোধ করেন না দেখে রিয়াল কোচও বেলকে একটা সময় আস্তে আস্তে তাকে পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। মূলত এভাবেই জিদানের সঙ্গে দূরত্বের সৃষ্টি বেলের।
না খেলেও অবশ্য বেতন-ভাতায় কখনো টান পড়েনি বেলের। গত মৌসুমেও এক প্রকার বসিয়ে বসিয়ে তাকে ৩ কোটি ইউরো বেতন দিয়েছে রিয়াল। সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ১২৬০ মিনিট খেলেছেন বেল, যা মোট মৌসুমের ২৭.৫ শতাংশ। অর্থাৎ, মিনিট প্রতি খেলতে তিনি বেতন পেয়েছেন ২৩,৮০০ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ লাখের কাছাকাছি!
সে যাই হোক, অবশেষে মাদ্রিদ ছাড়তে যাচ্ছেন বেল। এক মৌসুমের জন্য তাকে তার পুরনো ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে ধারে পাঠানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রিয়াল। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার লন্ডনের ফ্লাইটে উঠতে পারেন ৩১ বছর বয়সী তারকা। সঙ্গে একই বিমানে থাকবেন রিয়ালেরই আরেক খেলোয়াড় সার্জিও রেগুইলোন।