‘বেলের চোট গুরুতর কিছু নয়’। ২৬ সেপ্টেম্বর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদানের এমন বক্তব্যের পরদিনই জানা গেল ৪৫দিনের জন্য ফের ছিটকে গেছেন লস ব্লাঙ্কোসদের ওয়েলস ফরোয়ার্ড। সুস্থ হয়ে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে যখন ‘মাদ্রিদ ডার্বি’র অপেক্ষা, তখন জানা গেল আবারও এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি! ইনজুরির সঙ্গে বেলের এমন সখ্যতা দিনের পর দিন। তাতে বড় অঙ্কের অর্থ নষ্ট হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের।
২০১৩ সালে ১০০.৭ মিলিয়ন ইউরোতে তখনকার সময়ে সবচেয়ে দামী হয়েই রিয়ালে যোগ দেন গ্যারেথ বেল। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে পঞ্চম মৌসুম চলছে তার। এরই মধ্যে ১৯ বারের মতো চোটে পড়লেন! রিয়ালের হয়ে শেষ ৬০ ম্যাচের মধ্যে খেলতে পেরেছেন ২০ ম্যাচ। বাকী ৪০ ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে চোটের কারণে।
কেবল ক্রয় মূল্যে বেলের পেছনে রিয়ালের মৌসুম প্রতি খরচ ১৬.৭ মিলিয়ন ইউরো। আর বেতনসহ তার পেছনে লস ব্লাঙ্কোসদের মোট খরচ ২২ মিলিয়ন ইউরো। প্রথম তিন মৌসুমে যা ছিল ১৮ মিলিয়ন ইউরো।
পাঁচ মৌসুমে বেলের পেছনে রিয়ালের খরচের পরিমাণটা ১৬৮.৮ মিলিয়ন ইউরো। অথচ বেল খেলেছেন মাত্র ১৫৯ ম্যাচ। অর্থাৎ ম্যাচ প্রতি তার পেছনে রিয়ালের খরচ ১ মিলিয়ন ৬০ হাজার ৩৭৭ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৫২ টাকা! মাঠে যতটুকু খেলতে পেরেছেন তাতে প্রতি মিনিটে তার পেছনে রিয়ালকে খরচ করতে হয়েছে ১৩ হাজার ৫৯৩ ইউরো করে।
টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে নাম লেখানোর পর বেলের প্রাপ্তি নেহাত মন্দ নয়। তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে একটি করে লা লিগা ও কোপা ডেল রে, দুটি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জেতা হয়েছে। তবে সেখানে বেলের অবদান বড্ড কম। ব্যক্তিগত পদক তালিকায় তেমন কিছু জমা হয়নি বললেই চলে।
দল-বদলের বাজারে বেলকে বেঁচে দেওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার মতো দলও প্রায় হাতে গোনা। দামি অথচ প্রায় অচল এমন খেলোয়াড়কে কোন দল কিনতে চাইবে সেটাই এখন রিয়ালের সামনে কোটি টাকার প্রশ্ন!