আরেকবার রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হতে চান জোসে মরিনহো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে ফাঁকা আছেন বলে তাকে অনেক ক্লাবই পেতে চাইছে। কিন্তু বার্নাব্যুতে ফিরতে চান বলেই একাধিক চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন পর্তুগিজ এই কোচ। মরিনহোর রিয়ালে ফেরার খবর এভাবেই নিশ্চিত করেছে গোল ডটকম।
প্রিমিয়ার লিগে খুবই বাজে শুরুর পর গত ডিসেম্বরে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে বিদায় জানানো হয় মরিনহোকে। তারপর থেকে ফাঁকা তিনি। এই সময়ে অবশ্য বসে নেই রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই কোচ। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিশ্লেষক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাকে। এর মধ্যেই গোল ডটকমকে বলেন, রিয়াল মাদ্রিদ ডাকলে তিনি খুবই আগ্রহী হবেন।
মে থেকে সেপ্টেম্বর, এই দুই মাসেই অন্তত পাঁচটি ক্লাবের ডাক ফিরিয়েছেন মরিনহো। যার মধ্যে আছে ফ্রান্সের মোনাকো, লিলে, জার্মানির উল্ফবুর্গ, শালকে জিরোফোর এবং ইতালির এসি মিলান। এই সময়ে অবশ্য মরিনহোর নজরে ছিল ফ্রান্সের পিএসজি, ইতালির জুভেন্টাস ও জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ।
বায়ার্ন, উল্ফবুর্গ ও শালকের কথা চিন্তা করে জার্মান শেখাও শুরু করেছিলেন মরিনহো। তবে মাস কয়েক আগে রিয়াল যখন সান্টিয়াগো সোলারিকে বরখাস্ত করে, তখন শোনা যায় টটেনহ্যাম থেকে মাউরিসিও পচেত্তিনোকে বার্নাব্যুতে নিচ্ছে রিয়াল। সেই সঙ্গে এও শোনা যায়, পচেত্তিনো স্পেনে গেলে হটস্পারের বসের চেয়ারে বসতে পারেন মরিনহো।
শেষ পর্যন্ত সেই দফায় কিছুই হয়নি। কারণ, সোলারিকে সরিয়ে দিয়ে দ্রুতই ডাগআউটে জিনেদিন জিদানকে বসিয়ে দেয় রিয়াল।
পিএসজি-বায়ার্ন অবশ্য কোচ ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটেনি। ওঠা-নামার মৌসুমের পরও টমাস টুখেলকে রেখে দেয় প্যারিস সাঁ সাঁ, আর বায়ার্নও ভরসা রাখে নিকো কোভাচের ওপর। একই সময়ে অ্যালেগ্রি’র রেখে যাওয়া চেয়ারে চেলসি থেকে মাউরোসিও সারিকে নিয়ে বসিয়ে দেয় জুভেন্টাস।
মৌসুমের শুরুতে গুছিয়ে উঠতে না পারায় মৃদু সমালোচনার মুখে কোচ জিদান। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির কাছে ৩-০ গোলে হারের পর। তারপর তো দু-একজন তাকে সরিয়ে দেয়ার কথাও বলছেন। আর সেটা শুনেই রিয়ালের ব্যাপারে আগ্রহী মরিনহো।