বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে চতুর্থ দিনেই শিরোপার সুবাস পাচ্ছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। তাদেরকে হতাশায় ডুবিয়ে ব্যাট হাতে রিশাদ হোসেনের প্রতিরোধ উল্টো চ্যালেঞ্জে ফেলেছে দলটিকে। ৯ নম্বরে নেমে তরুণ লেগ স্পিনারের ৯৯ রানের লড়াকু ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল।
মিরপুরে ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি রিশাদ। ১৩৬ বলে ১০ চার ও চার ছক্কায় খেলেন ৯৯ রানের ইনিংস। তাইবুর রহমানের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। আবু হায়দার রনির পেস তোপে ১১৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। লিড তখন মাত্র ৬৮ রানের। হাতে ছিল মোটে ৩ উইকেট।
বাকি টেলএন্ডারদের নিয়ে রিশাদ ২৬৮’তে টেনে নেন দলীয় সংগ্রহ। নাসুম আহমেদকে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন। মেহেদী হাসান রানার সঙ্গে পরের জুটিতে আসে ৫১ রান। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে শেষ জুটিতে রিশাদ যোগ করেন আরও ৪৪ রান।
২৮ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে অপরাজিত থেকে কামরুল ইসলাম রাব্বি রিশাদকে করে দেন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সুযোগ। সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। তাইবুরের স্পিনে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিকের গ্লাভসে।
মধ্যাঞ্চলের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার ৭৮ রানে নেন ৫ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, সৌম্য সরকার ও তাইবুর।
প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় ২১৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় মধ্যাঞ্চলের সামনে। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ২৬ রান।
জিততে আরও ১৯২ রান করতে হবে। হাতে উইকেট ৭টি। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ মিঠুন (৭)। আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ (৫) ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে চারে নামা হাসান মুরাদকে (১) ফেরান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সৌম্য সরকার ৮ ও সালমান হোসেন ইমন ৫ রানে অপরাজিত আছেন। জাকির হাসানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে (১০৭) প্রথম ইনিংসে চারশর কাছাকাছি (৩৮৭) সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণাঞ্চল। বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ নেন ৫ উইকেট।
মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরি (২০৬) ও শুভাগত হোমের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল করে ৪৩৮ রান। কামরুল ইসলাম রাব্বি ও ফরহাদ রেজা নেন ৪টি করে উইকেট।