পুরনো হিন্দি গানের রিমিক্স কিংবা রিক্রিয়েট হওয়া বলিউডে নতুন কোন ঘটনা নয়। এ যাবত বহু জনপ্রিয় গানেরই রিমিক্স ভার্সন রিলিজ হয়েছে। যেগুলো দর্শক-শ্রোতাদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু পুরনো গানের নতুন সেই সংস্করণে কি যথাযথ কৃতিত্ব পাচ্ছেন মূল গানের লেখক কিংবা সুরকাররা? সম্প্রতি এমনই প্রশ্ন রেখেছেন গীতিকার সামীর অঞ্জন।
বিষয়টির প্রতিবাদে গীতিকার সামীর অঞ্জন ইতোমধ্যেই ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটির (আইপিআরএস) চেয়ারম্যান প্রবীণ চিত্রনাট্যকার-গীতিকার জাভেদ আখতারের সাথে কথা বলেছেন।
তারা বিষয়টি সুরাহা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা জানিয়েছেন, ‘যা ঘটছে তা ঠিক নয়। আমরা এটির সম্পূর্ণ বিরোধী এবং এটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিষয়টিকে আদালতে নেওয়ারও পরিকল্পনা করছি। কারণ আমরা তাদের (সংগীত লেবেলগুলোকে) একটি নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য অধিকার দেই কিন্তু তারা পুনরায় গানগুলো করছে এবং বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছে। একই সাথে গানের মূল লেখক, সুরকার কিংবা গীতিকার কাউকেই যথাযথ স্বীকৃতি দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে উদাহরণ সরূপ সামীর অঞ্জন বলেন, গেল বছর জন আব্রাহাম অভিনীত ‘বাটলা হাউজ’-এর ‘দিলবার দিলবার’ গানটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। গানটি ভূষণ কুমারের নেতৃত্বে টি-সিরিজের মাধ্যমে পুননির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর গানটির একটি বিজ্ঞাপনের দিকে যখন আমার চোখ পড়ে তখন আমি খেয়াল করি গানটির লেখক হিসেবে কৃতিত্ব হওয়া হয়েছে সাব্বির আহম্মদকে। যিনি কিনা গানের শুরুর মাত্র দুটি লাইন লিখেছেন। বাকি পুরো গানই আমার লেখা। এভাবে কেমন করে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে পারবে গান গুলোর আসল লেখকের নাম?
এটাই প্রথম নয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সময় অনেক গানের ক্ষেত্রেই মূল লেখক কিংবা সুরকারদের প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
প্রসঙ্গত, গেল ২৬ মার্চ পশ্চিম বাংলার গীতিকবি ও শিল্পী রতন কাহারের সত্তর দশকের জনপ্রিয় গান ‘লাল গেন্দা ফুল’-এর রিমেক করেন বলিউডের শিল্পী বাদশা। গানটির ভিডিও করে প্রকাশ করে টি-সিরিজ। যা প্রকাশের পর ভারতবর্ষে তুমুল সাড়া পড়ে যায়। যদিও গানের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি গীতিকার শিল্পী রতন কাহারের নাম।