১৬ বছর আগে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানিকগঞ্জের শুক্কুর আলীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
শুক্কুরের পক্ষের আইনজীবী এম কে রহমান জানিয়েছেন, উপমহাদেশে রায় রিভিউ করে সাজা কমানোর ঘটনা বিরল। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে এ ধরণের ঘটনা এটাই প্রথম।
শুক্কুরের আইনজীবী এম কে রহমান আদেশের পর বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার পর দণ্ড কমানোর ঘটনা তার জানা মতে এই প্রথম। শুক্কুর এখন রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা (মার্সি) চাইবেন জানিয়ে তার আরেক আইনজীবী নাজনীন নাহার দীপু বলেন, আশা করি সেখানে প্রতিকার পাব। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৯ সালে মানিকগঞ্জে সাত বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী শুক্কুর আলীকে ২০০১ সালে মৃত্যুদণ্ড দেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট শুক্কুর আলীর পক্ষে আপিল করলেও নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বহাল থাকে।
পরে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ হলে হাইকোর্ট বলেন, অপরাধের সাজা শুধু মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। তবে শুক্কুর আলীর সাজা বহাল রাখেন তারা।
আপিল বিভাগও সাজা বহাল রাখলে রিভিউ চেয়ে আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দিয়েছেন ।
রিভিউর আবেদনের মাধ্যমে সাজা কমানোর বিষয়ে মন্তব্য করেন শুক্কুুর আলীর আইনজীবী। আসামি শুক্কুুর আলী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন এমন নির্দেশনা আছে রায়ে এ কথা জানিয়ে তার আইজীবী জানিয়েছেন, তারা আবেদন করবেন এবং সেখানে প্রতিকার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।