বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যায় মাদকের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা এবং রিফাত ও নয়নদের পূর্বপরিচিতরা। তারা বলছেন, প্রভাবশালীদের কারণে তদন্তে মাদকের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে না।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পুলিশ মাদকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন।
বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মূল আসামি নয়ন কিছুদিন আগে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। রিফাত শরীফকেও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিফাত হত্যার আসামিদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় এক কমিশনার ও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক সম্প্রতি মাদকসহ ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে সুনাম দেবনাথের প্রভাবে তারা দ্রুত ছাড়া পেয়ে যান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকুসহ জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার দাবি, মাদকের পেছনে প্রভাবশালীরা আছেন বলে, মাদক থেকে থেকে দৃষ্টি সরাতে রিফাত হত্যার পেছনে শুধু মিন্নিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
রিফাত শরীফ এবং নয়নের সাথে যাদের জানাশোনা ছিলো তারাও বলছে, এ হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ মাদক। তবে মাদক ব্যবসার পেছনে সুনাম দেবনাথ জড়িত নন বলে মন্তব্য করেছেন তার বাবা, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। পুলিশ বলছে, রিফাত হত্যার পেছনে মাদকের সংশ্লিষ্টতা নেই।
এলাকাবাসীর দাবি, রিফাত শরীফ হত্যার সাথে মাদকের সম্পর্কের বিষয়টি তদন্তে উঠে এলে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি থাকার পরও বরগুনায় ইয়াবার বিষয়টি উঠে আসবে।
আরও দেখুন ওবায়দুল রশিদের ভিডিও প্রতিবেদনে: