বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মতো সাইবার আক্রমণের শিকার তৃতীয় ব্যাংকের না প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রকাশিত তৃতীয় এই ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির আগেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মেসেজিং নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফটের সিস্টেমে প্রবেশ করে হামলার শিকার তৃতীয় ব্যাংকটি ইকুয়েডরের। এই ব্যাংকটির নাম বানকো দেল অস্ট্রো।
স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইকুয়েডরের ব্যাংকে গত বছরই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের জানুয়ািরতে এ নিয়ে একটি মামলাও হয়।, বানকো দেল অস্ট্রো ব্যাংকের বিভিন্ন লেনদেন ‘লাল পতাকা’ চিহ্নিত করতে ব্যর্থ ওয়েলস ফারগো এন্ড কোং।
সাইবার অপরাধীরা সেসময় ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল। যেটা স্থানান্তরিত হয়েছে হংকংয়ের কয়েকটি ব্যাংকে। দেল অস্ট্রো ব্যাংকের এক রিপোর্ট বলছে, সেসময় ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
মামলা থেকে আরো জানা যায়, লস এঞ্জেলেস এবং দুবাই ভিত্তিক ব্যাংকে যথাক্রমে ১ দশমিক ৫ ও এ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। ইকুয়েডরের ব্যাংক থেকেও একই স্টাইলে অর্থ চুরি হয়।
বানকো দেল অস্ট্রো ব্যাংকের একটি ফাইলের তথ্যানুযায়ী, অর্থ স্থানান্তরে একটি অননুমোদিত ব্যবহারকারী, প্রত্যেকে ইন্টারনেট ব্যবহার, ম্যালওয়্যার দূরবর্তী অ্যাক্সেস অনুমতি সুইফট নেটওয়ার্কের লগিং সিস্টেমের মধ্যে গিয়ে হ্যাক করেছিল।
ইকুয়েডরের ব্যাংকের ঘটনায় কোনো কিছু অবহিত না থাকার দাবি করেছে সুইফট।