১৯৭৫ সালে হারানো পরিবারের সবচেয়ে ছোট ভাই শেখ রাসেল সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাসেলের লক্ষ্য ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য হবে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির ভাষণে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার একটি পারিবারিক ও আন্তরিক সম্পর্ক আছে। কারণ আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় ভাই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, তারা সকলেই ১৯৭৫ সালে শাহাদাত বরণ করেন।’
‘আর ছোট ভাই দশ বছরের রাসেল… তার জীবনের একটা লক্ষ্যই ছিল যে সে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয় তখন তাদেরকেও শাহাদাত বরণ করতে হয়। ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে আমি আমার সবাইকে হারিয়েছি। শুধু আমরা দু’টি বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে যাই,’ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে স্বাধীন রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। কেননা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বিশ্ব দরবারে মানসম্মত অ্যাকাডেমি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
এছাড়া ভাষণে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।